বাত হচ্ছে শারীরিক এক ধরনের রোগ। মধ্য বয়ষ্ক লোকদের মধ্যে কিছু আর বৃদ্ধ বয়সের প্রায় লোকই বাত ব্যথায় ভুগেন । দৈনন্দিন জীবনেই কাটে তাদের এই ব্যথার সাথে । আবার অমাবস্যা বা পূর্ণিমার রাত আসলে তাদের নাকি বাতের ব্যথা বেড়ে যায়। আমি এখনো সেটা জানি না । আমি জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলে তুমি বৃদ্ধ হলে বুঝবা যে এই রাত গুলোতে কেন হয় ? তবে যে এই রাত গুলোতে বাত ব্যথা হয় এটা সত্যি ।
যাই হউক বাত ব্যথা হল মানুষের শরীরে দীর্ঘ মেয়াদি যে ব্যথা বিদ্যমান থাকে । আর আগেই বলেছি যে বৃদ্ধ বয়সে বাত ব্যথা প্রায় লোকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় আর তাকে বলা হয় অস্টিওয়ার্থ্রাইটিস ।
কোথায় কোথায় বাত ব্যথা হতে পারে ?
মাংসে ,হাড়ে গিঁটে,পায়ের গোড়ালি,হাতের কব্জি, জয়েন্টে এমনকি শরীরের যেকোনো অংশে । মূলত যখন হাড়ে বা জয়েন্টে ব্যথা (যেখানে ইউরিক এসিডের দেখা পাওয়া যায় ) হয় তখন টের পাওয়া যায় ব্যথা কি জিনিস । আবার গিঁটে ব্যথা হয় কখন ? যখন বাতজ্বর দেখা দিবে তখন ।
আর একটা কথা না বললেই নয় আপনি যদি বাত জ্বরে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার কিডনী,চোখ ,লিভার আক্রান্ত হতে পারে । তবে সেটা দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে, সম্ভাবনই থাকে দীর্ঘমেয়াদি ,হওয়ার । তাই সাবধান।
কিন্তু কারণ কি ? কেন এরকম হয় ? আপনি কি সেটা জানেন ?
১.জেনেটিক কারণ: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কারো এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মে বিস্তার করতে পারে ।
২. বয়স : আগেই বলেছি বৃদ্ধ বয়সে বাত ব্যথা বেশি হয়।
৩. আলসেমি : আপনার শরীর যদি কর্মক্ষণ না থাকে তাহলে আপনার বাত ব্যথা হতে পারে ।
করণীয় কি ?
১.ছ্যাঁক দেওয়া : বাত ব্যথা উপশমে আপনি গরম বা ঠান্ডা পানির ছ্যাঁক দিতে পারেন ।
২. বিশ্রাম: আপনি যদি কাজ করে থাকেন তাহলেতো বিশ্রাম তো নিবেনই। তবে বাত ব্যথায় আক্রান্ত হলে বিশ্রাম নেয়া আবশ্যক।
৩. ব্যায়াম: ব্যায়াম আপনার শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। যেখানে বাত ব্যথা দেখা দেয় সেখানে ব্যয়াম করলে আপনার শরীরের জন্য উপকারে দিবে ।
৪. ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া: বাত ব্যথায় আক্রান্ত হলে ঘরোয়া প্রতিকাররে পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আমি যেগুলো বলে দিলাম তা হচ্ছে তাৎক্ষণিক। তাই অতিসত্বর ডাক্তার দেখান। ডাক্তার আপনাকে বলে দিবে করণীয় কি ? নিজে পন্ডিতি করে কোন ঔষধ সেবন করতে যাবেন না ।