খেজুরের উপকারিতা কি কি ?

খেজুর মধ্যপ্রাচ্যের এক পরিচিত ফলের নাম। এটি খুবই সুস্বাদু। এমন কে না আছে যে খেজুরকে পছন্দ করে না ? আমারও পছন্দের একটা ফল। কিন্তু পছন্দের হলে কি হবে খাওয়া হয় না ।‌ মানে খেজুর খাব ভেবে নেই ঠিক কিন্তু সম্ভব হয় না । হয় বাজারে নেই, নয় আমার সময় হয় না এসব আরকি ‌ । আপনাদেরও এমন হয় নাকি ? 




         

Date

                      



এই সুস্বাদু ফলটিকে অবহেলা করবেন না। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তাই একটি হলেও খান যদি আপনার থেকে থাকে। কেননা শর্করা,ফাইবার, আয়রন,ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়ামহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই খেজুর। শরীরের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় যখন আপনি ৩০ এর কোঠায় পৌঁছান।‌






সে যাই হউক এই পছন্দনীয় ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। আসুন এই খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। 






১. পেটের অসুখ প্রতিরোধ : যারা পেটের অসুখে ভুগছেন তাদের উদ্দেশ্য বলি আপনার এই অসুখ প্রতিরোধে খেজুর বিকল্প হতে পারে । খেজুরে থাকা উপাদান গুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। 






২. হৃদরোগের প্রতিরোধ: হৃদরোগ থেকে রেহাই পেতে রোগী নানান ঔষধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি ঔষধ থেকে প্রাকৃতিক ঔষধ কতটা উপকারী ? তাই আপনার এই হৃদরোগের প্রতিরোধে খেজুর বিকল্প হতে পারে।‌ ঔষধ সেবনে নিষেধ করছি‌না। 






৩.জ্বর ও দুর্বলতা কমাতে : প্রায়ই ‌‌হঠাৎ করেই আমাদের শরীরে জ্বর এসে যায়। সেটা বিভিন্ন কারণ হতে পারে।‌তাই জ্বর আসলে খেজুর খেতে ভুলবেন না। আর যারা শারীরিক ভাবে দুর্বলতা ‌অনুভব করেন তারা খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন। শরীর শক্তি ফিরে ‌পাবেন ।






৪. উচ্চ পুষ্টি: খেজুর একটি পূর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয় , ভিটামিন, মিনারল, ফাইবার এবং উচ্চ পরিমাণে উপকারিতা দিয়ে। এটি সাধারণত ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, আয়রন এবং পটাশিয়াম বিদ্যমান। এছাড়াও মিনারলগুলো যেমন: ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং নিউট্রিয়েন্টগুলো সরবরাহ করে।








৫.কম কোলেস্টেরল: খেজুরে উচ্চ কোলেস্টেরলের লেভেল কমানোর উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরের অন্যান্য কোলেস্টেরল কমানোর জন্য সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।






৬.ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সমর্থন: খেজুরে অনেক পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা পাচন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। তাই‌ হজম সমস্যা দূর করতে খেজুর ‌খেতেই পারেন ।‌




৭.রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি: যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া গলাব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডায় খেজুর উপকারী রেটিং ইতোমধ্যে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে বৃদ্ধি পায় শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও।




৮.দৃষ্টিশক্তি প্রখর: খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। আর তা হল : বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫। এ ছাড়া ভিটামিন এ১ এবং সি‌ সহ নানা ভিটামিনের পাওয়ার হাউস বলতে পারেন খেজুরকে। এটি‌ আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে । সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।‌ তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে চোখের সমস্যা ‌দেখা দেয় তা আনতে না চাইলে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।‌ উপকার আপনারই হবে। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম