ডিম আমিষ নাকি নিরামিষ ?

ডিম পুষ্টিকর এক জনপ্রিয় খাদ্য । কে না ভালোবাসে এই ডিম খেতে ? চাই সেটা হউক সিদ্ধ বা ভাজা । আমারও পছন্দের তালিকায় এই ডিম ।শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় এই পছন্দের ডিম অন্তর্ভুক্ত করে আসছে। তো এই পছন্দের জিনিসটাকে আমরা সকলেই খাই । পছন্দের এই জিনিসটাকে নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন কি 'ডিম আমিষ নাকি নিরামিষ' ?



Egg,ডিম আমিষ নাকি নিরামিষ এ নিয়ে তথ্য ও ব্যাখ্যা
ডিমকে ঘিরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন – এটি আসলে আমিষ না নিরামিষ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।


এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের ডিমের উৎস, পুষ্টিগুণ, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা একসাথে বিবেচনা করতে হবে।

                        




ডিমের উৎস ও প্রকৃতি

ডিম মূলত মুরগি, হাঁস বা অন্যান্য পাখি দ্বারা উৎপন্ন একটি প্রজনন কোষ। এর ভিতরে থাকে ভ্রূণ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান—প্রোটিন, ফ্যাট, খনিজ, ভিটামিন ইত্যাদি।


আমিষ খাবারের ধারণা

আমিষ খাবার সাধারণত প্রাণী বা প্রাণীজাত উৎস থেকে আসে। মাংস, মাছ, দুধ, ডিম—এসবই এই শ্রেণিতে পড়ে। ডিমে প্রাণী প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন B12, আয়রনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে।



নিরামিষ খাবারের ধারণা

নিরামিষ খাবার বলতে সাধারণত উদ্ভিদজাত উৎসের খাদ্য বোঝায়। শাকসবজি, ফলমূল, শস্য, ডাল, বাদাম—সবই এই তালিকায় থাকে।


Egg,ডিম আমিষ নাকি নিরামিষ এ নিয়ে তথ্য ও ব্যাখ্যা
ডিম


ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও এটা নিয়ে কিন্তু একটি দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেটা কি ? সেটা হচ্ছে এই ডিম আমিষভোজীদের খাদ্য নাকি নিরামিষভোজীদের খাদ্য । আমিষভোজী যারা তারা খান,নিরামিষভোজীরা সাধারণত প্রাণী হত্যা বা প্রাণীজাত উপাদান এড়িয়ে চলেন। কিছু নিরামিষভোজী, বিশেষ করে "ওভো-ভেজেটেরিয়ান" গোষ্ঠী, ডিম খান কিন্তু মাংস বা মাছ খান না।এভাবে তাদের নিরামিষ খাদ্যতালিকায় ডিমের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। 



এই যখন অবস্থা তখন বিজ্ঞানীরা কি উত্তর দিচ্ছেন ? চলুন জেনে নিই ।



                     

ডিমের গুনাগুণ সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা । ডিমের খোসা ,সাদা অংশ, কুসুম এই তিনটি অংশ নিয়ে ডিম গঠিত । এখন এই তিনটি নিয়ে আলোচনা করব ।


ডিমের খোসাতো বাদই । সাদা অংশে রয়েছে শুধু প্রোটিন । তবে কোন প্রাণিজ সেল নেই। সুতরাং এখানে থেকে আমরা বলতে পারি এই অংশটি নিরামিষ ।




আবার এদিকে কুসুমে রয়েছে কোলেস্টেরল ও প্রোটিন । এটাকে আমিষ হিসেবে ধরা হয় । ডিমে থাকা প্রোটিন যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। এছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানও থাকে । এই হিসেবে ডিম আমিষ জাতীয় খাবার ।





অন্যদিকে ডিম যদিও মুরগী থেকে আসে তথাপি এখানে কোন জীবন নেই । তাই ডিম একটি নিরামিষ বলা যায় । তাই দিনে একবার হলেও এই ডিম খাবেন । এতে করে আপনি রোগমুক্ত থাকতে পারবেন । আমিষ না নিরামিষ এই নিয়ে চিন্তা না করে নিশ্চিন্তে খান । 


Faq



প্রশ্ন ১: ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

উত্তর: হ্যাঁ, ডিম উচ্চমানের প্রোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ, তবে পরিমিত খাওয়া উচিত।

প্রশ্ন ২: আমিষ ও নিরামিষ খাদ্যের প্রধান পার্থক্য কী?

উত্তর: আমিষ খাদ্য প্রাণী বা প্রাণীজাত উৎস থেকে আসে, নিরামিষ খাদ্য উদ্ভিদজাত উৎস থেকে আসে।

প্রশ্ন ৩: ডিম কি ভেজ না নন-ভেজ?

উত্তর: সাধারণভাবে ডিমকে নন-ভেজ বা আমিষ ধরা হয়, তবে কিছু সংস্কৃতিতে একে নিরামিষও মনে করা হয়।



প্রশ্ন ৪: ডিমে কি প্রাণীজ উপাদান থাকে?

হ্যাঁ, ডিমে প্রাণীজ প্রোটিন, চর্বি ও ভিটামিন থাকে, যা প্রাণীজ খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত।



প্রশ্ন ৫:ডিম কি ল্যাক্টো-ওভো ভেজেটেরিয়ান ডায়েটে খাওয়া যায়?

হ্যাঁ, ল্যাক্টো-ওভো ভেজেটেরিয়ান ডায়েটে দুধ ও ডিম অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাই এই ধরনের নিরামিষভোজীরা ডিম খান।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম