জানেন ব্রণের কারণ কি ?

মানুষের সবচেয়ে সাধারণ ত্বকজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে ব্রণ অন্যতম। বিশেষ করে ত্বকের যত্নে অবহেলার কারণে ব্রণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সচরাচর আমরা মুখেই দেখি । সেজন্য বলা যায় , ব্রণ মুখের একটি ত্বকের সমস্যা। এটা ছেলে ও মেয়েদের উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়। আপনার ব্রণ নিয়ে আপনি খুব চিন্তিত ? নিজের প্রতি খুব বিরক্ত ? যাইহোক যে কোন রোগের চিকিৎসার আগে তার কারণ জানতে চাওয়া হয় তার পরেই তো সমাধান করতে হয় । তাই আজকে আমি ব্রণের কারণ নিয়ে আলোচনা করব । পরবর্তী পর্বে তার চিকিৎসা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করব। তো আসুন জেনে নেয়া যাক।
                       

Acne,ব্রণযুক্ত মুখের ছবি যেখানে ত্বকের সমস্যা ও ব্রণের দাগ দেখা যাচ্ছে
ব্রণ শুধু সৌন্দর্যের সমস্যা নয়, এটি ত্বকের ভেতরের ভারসাম্যহীনতারও লক্ষণ।


১.ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড

অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড পিজ্জা, বার্গার , সিঙাড়া, এককথায় তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস যত খাবেন ততই ব্রণ দেখা দেবে ।





২.অতিরিক্ত চাপ

মাথায় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োজনে ব্রণ গঠন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও অসুস্থ ব্যক্তি মাথা থেকে অতিরিক্ত চাপ উঠালে ব্রণ উঠতে পারে। অন্যদিকে টেনশন থেকেও হয় ব্রণ আবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের জন্য দায়ী।





৩.স্ক্রেচিং বা মারামারি

কখনোই ত্বক স্ক্রেচ করা উচিত নয়, কারণ এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং ব্রণের উদ্ভব করতে পারে। যখন আপনি কাটছাট বা মারামারি করছেন তখন সতর্ক থাকুন যেন ত্বক ক্ষতি হয় না।





৪.ত্বকের সংক্রমণ

ক্ষতির জন্য আক্রমণযোগ্য ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফঙ্গাসের আক্রমণ ব্রণ উৎপাদন করতে পারে। এই প্রকার ব্রণ সাধারণত সংক্রমণের ফলে হয়।





৫.অপর্যাপ্ত ঘুম

আপনারা জানেন কি না জানি না যে কম ঘুম ব্রণের জন্য দায়ী।




৬. অতিরিক্ত ঘাম 

অতিরিক্ত ঘাম থেকেও অনেকের ব্রণ হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত কাজে ব্যস্ত থাকেন আবার প্রচন্ড পরিমানে ঘামান তার ঐ ঘামমুক্ত না হলে ব্রণের হামলার শিকার হবেন ।




৭. মেকআপ 

অতিরিক্ত মেকআপ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এতে ব্রণের শিকার হবেন । সালফেটস, প্যারাবেন্স সমৃদ্ধ মেকআপ ক্ষতিকর।‌


ব্রণের জন্য দায়ী খাবার কি ? 



ব্রণের জন্য দায়ী খাবার
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ব্রণের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নিচে কিছু ব্রণের জন্য দায়ী খাবার দেওয়া হলো—

অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার – এগুলো ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়, যা ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার – দুধে থাকা হরমোন কিছু মানুষের ব্রণ বাড়িয়ে দেয়।

অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার – হজমের সমস্যা বাড়িয়ে পরোক্ষভাবে ব্রণ বাড়ায়।

চকলেট – কিছু গবেষণায় দেখা গেছে চকলেট খেলে ব্রণ বেড়ে যায়।



ব্রণের কারণ অনেক রকম হতে পারে—হরমোন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস কিংবা ত্বকের যত্নে অবহেলা। মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ এবং ব্রণের জন্য দায়ী খাবার সম্পর্কে জানা থাকলে প্রতিরোধ করা সহজ হয়। তাই ত্বক পরিষ্কার রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও সঠিক জীবনযাপনই ব্রণ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।





ব্রণ নিয়ে ভিন্নধর্মী কিছু FAQ


১. ব্রণ কি শুধু কৈশোরে হয়?

না। তবে হরমোন পরিবর্তনের কারণে কৈশোরে হতে পারে । অনেকের প্রাপ্তবয়স্ক বয়সেও ব্রণ হতে পারে।


২. ব্রণ ফাটালে কি ক্ষতি হয়?

হ্যাঁ। ব্রণ ফাটালে দাগ পড়তে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।


৩. ঘাম হলে কি ব্রণ বাড়ে?

হ্যাঁ, অতিরিক্ত ঘাম ত্বকে জমে লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে, ফলে ব্রণ বেড়ে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম