বদহজম একটি শারীরিক অসুস্থতা। যেমন মনে করুন আপনি দুপুরে বা রাতে খাওয়া দাওয়া করলেন । কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ করেই আপনি পেট ব্যথা অনুভূত করতে লাগলেন । ভাবছেন কেন এরকম হল ? এই অবস্থায় 'বদহজম থেকে মুক্তির উপায়' - সবাই খোঁজেন ।আছে তো নিশ্চয়ই কোন কারণ । হতে পারে এটা বদহজম । এখন কথা হল বদহজম কি সবাই বোঝেন । তাও এবার বলছি ।
বদহজম কি ?
বদহজম হলো খাদ্য পরিপ্রেক্ষ্যে শরীরের একটি প্রক্রিয়া, যাতে খাদ্য পাচন হয় এবং পোষণ উপাদানগুলো সরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় খাদ্য বিশেষত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ও চর্বি পরিণত হয় এবং উপকরণ বাদ দেওয়া হয়।
বদহজমের কি কোন লক্ষণ আছে ?
বদহজমের সমস্যার কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে যেমন:
পেট ব্যথা : খাদ্য পাচনের সময়ে হঠাৎ করেই পেট ব্যথা হতে পারে। এটা অন্যতম লক্ষণ।
বমি ও তিক্ততা: বমি হতে পারে এবং খাদ্যের পাচনের সময়ে তিক্ততা অনুভব হতে পারে।
পেটের সমস্যা: বদহজমের ফলে পেটে গ্যাস অথবা পেটের ব্যথা হতে পারে।
অবসাদ এবং উচ্ছ্বাস: বদহজমের সমস্যা থাকলে মানসিক সমস্যা যেমন অবসাদ বা উচ্ছ্বাসের লক্ষণ হতে পারে।
বুকজ্বালা: বদহজমের অন্যতম একটি লক্ষণ হল বুক জ্বালা করা । তবে অনেক সময় শুধু বুক জ্বালা করলে সেটা বদহজম হবে না ।সাথে আরো লক্ষণ থাকতে হবে ।
গ্যাস ও ঢেঁকুর: খাওয়া দাওয়ার একটু অনিয়ম বা খাওয়ায় সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় । আর আই গ্যাসের সমস্যাও বদহজমের একটা লক্ষণ । সেই সাথে ঢেঁকুর হয়ে থাকে । তাহলে বুঝবেন এটা একটা লক্ষণ ।
অরুচি: খাবারে অরুচি থাকা। কোনকিছু খেতে ইচ্ছে না করা । খিদে পেয়েছে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে না । এরকম হলে এটা বদহজমের লক্ষণ ।
বদহজমের কারণ কি ?
আলসার: পেটে আলসার থাকলে বদ হজম হয় । তবে তা খুব সংখ্যক ।
অনুপযুক্ত খাবার: খাদ্য দেহের কাঠামো ঠিক রাখে । আর সেই খাদ্যই যদি উপযুক্ত না হয় তবে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
দেরি করে খাওয়া: খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকে । আর যদি হেরফের হয় তবে বদহজমের দেখা দেয় ।
অতিরিক্ত ও দ্রুত খাওয়া: অল্প সময়ে বেশি খেলে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
ফ্যাটযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার: এসব খাবার হজমে সময় নেয় এবং পাকস্থলিতে চাপ ফেলে।
মদ পান: সবাই জানে মদ পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । আর এই মদই বদহজমের কারণ।
মানসিক চাপ: অনেকেই মানসিক চাপে থাকেন , দুঃশ্চিন্তায় থাকেন । তাদের বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অনিদ্রা: অনিদ্রাও বদহজমের কারণ ।
পানি কম খাওয়া: হজমে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর পানি কম খাওয়া বদহজমের কারণ হতে পারে ।
খাদ্যের অমিলেইসম (ডাইজেস্টিভ) সমস্যা: অমিলেইসম বা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে সমস্যা থাকলে বদহজমের কারণ হতে পারে।
কারণ যাই হউক। এবার 'বদহজম থেকে মুক্তির উপায় ' কি ? কোন উপায় আছে কি ? অবশ্যই আছে। বদহজম থেকে মুক্তি পেতে আপনি যা খেতে পারেন ।
মৌরি: নাম শুনেছেন অনেকেই ।এটা অনেকের রান্নাঘরে থাকে । পানি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ১/ ২ চামচ ঢেলে দিন । কিছুক্ষণ পর মানে গরম কিছুটা কমলে একটু একটু করে খান ।
আদা: আদা সবার ঘরেই থাকে । অনেক কাজে লাগে এই আদা । তাই বদহজমের সমস্যা দূর করতে গরম পানি, লবণ ও আদার রস মিশ্রিত করে খান ।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা হজমে সহায়ক এবং পেটের গ্যাস কমায়।
ব্যবহার: পুদিনা পাতার রস, চা বা সালাদে ব্যবহার করুন।
জিরা:জিরা হজমের এনজাইম নিঃসরণ বাড়ায় এবং বদহজম থেকে মুক্তি দেয়।
ব্যবহার: এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ জিরা সিদ্ধ করে পান করুন।
দই:দইতে প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজমে সাহায্য করে।
ব্যবহার: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক বাটি দই রাখুন।
তুলসী পাতা:তুলসী গ্যাস ও হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে।
ব্যবহার: ৫-৭টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার:
পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে।
ব্যবহার: এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ মিশিয়ে খাবারের আগে খান।
এলাচ ও লবঙ্গ:
এরা হজমে সহায়ক এবং বদহজম ও গ্যাস কমায়।
ব্যবহার: খাবারের পরে একটুকরো লবঙ্গ বা এলাচ চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আরও যা করতে পারেন ।
বদহজমের সমস্যার দূর করতে আরও কিছু করণীয় হতে পারে:
জীবনধারায় পরিবর্তন
নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা হাঁটা, যোগব্যায়াম বা প্রাণায়াম হজমে সহায়ক।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম বদহজম প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ: পাকস্থলীর কার্যক্রম ঠিক রাখতে সহায়ক।
নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া: হজমের ছন্দ বজায় রাখে।
পোষণবান খাদ্য নেওয়া: আপনার ভোজনে বিভিন্ন প্রকারের পোষণবান খাদ্য যোগ করতে সতর্ক হোন, যাতে শরীর সুস্থ থাকে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা হোক, যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, যত্ন নেওয়া, এবং প্রতি দিনে পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া।
প্রযুক্তি প্রবল খাদ্য এবং চোখ দেখা: প্রযুক্তি প্রবল খাদ্য এবং বাইরের মাধ্যমে দেখা সুন্দর দৃশ্যে হোক তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।
চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ: যদি বদহজমে সমস্যা দেখা যায়, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি?
যদি বদহজম দীর্ঘস্থায়ী হয়, ওষুধ বা ঘরোয়া পদ্ধতি কাজ না করে, অথবা নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
রক্ত বমি বা কালো রঙের পায়খানা
অনিয়মিত ওজন হ্রাস
তীব্র পেট ব্যথা
ক্ষুধামন্দা দীর্ঘস্থায়ী হলে
বদহজম একদিকে যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি—এই তিন উপায় বদহজম প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। ও তিক্ততা: বমি হতে পারে এবং খাদ্যের পাচনের সময়ে তিক্ততা অনুভব হতে পারে।
পেটের সমস্যা: বদহজমের ফলে পেটে গ্যাস অথবা পেটের ব্যথা হতে পারে।
অবসাদ এবং উচ্ছ্বাস: বদহজমের সমস্যা থাকলে মানসিক সমস্যা যেমন অবসাদ বা উচ্ছ্বাসের লক্ষণ হতে পারে।
বুকজ্বালা: বদহজমের অন্যতম একটি লক্ষণ হল বুক জ্বালা করা । তবে অনেক সময় শুধু বুক জ্বালা করলে সেটা বদহজম হবে না ।সাথে আরো লক্ষণ থাকতে হবে ।
গ্যাস ও ঢেঁকুর: খাওয়া দাওয়ার একটু অনিয়ম বা খাওয়ায় সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় । আর আই গ্যাসের সমস্যাও বদহজমের একটা লক্ষণ । সেই সাথে ঢেঁকুর হয়ে থাকে । তাহলে বুঝবেন এটা একটা লক্ষণ ।
অরুচি: খাবারে অরুচি থাকা। কোনকিছু খেতে ইচ্ছে না করা । খিদে পেয়েছে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে না । এরকম হলে এটা বদহজমের লক্ষণ ।
বদহজমের কারণ কি ?
আলসার: পেটে আলসার থাকলে বদ হজম হয় । তবে তা খুব সংখ্যক ।
অনুপযুক্ত খাবার: খাদ্য দেহের কাঠামো ঠিক রাখে । আর সেই খাদ্যই যদি উপযুক্ত না হয় তবে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
দেরি করে খাওয়া: খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকে । আর যদি হেরফের হয় তবে বদহজমের দেখা দেয় ।
অতিরিক্ত ও দ্রুত খাওয়া: অল্প সময়ে বেশি খেলে হজমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
ফ্যাটযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার: এসব খাবার হজমে সময় নেয় এবং পাকস্থলিতে চাপ ফেলে।
মদ পান: সবাই জানে মদ পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । আর এই মদই বদহজমের কারণ।
মানসিক চাপ: অনেকেই মানসিক চাপে থাকেন , দুঃশ্চিন্তায় থাকেন । তাদের বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অনিদ্রা: অনিদ্রাও বদহজমের কারণ ।
পানি কম খাওয়া: হজমে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর পানি কম খাওয়া বদহজমের কারণ হতে পারে ।
খাদ্যের অমিলেইসম (ডাইজেস্টিভ) সমস্যা: অমিলেইসম বা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে সমস্যা থাকলে বদহজমের কারণ হতে পারে।
কারণ যাই হউক। এবার 'বদহজম থেকে মুক্তির উপায় ' কি ? কোন উপায় আছে কি ? অবশ্যই আছে। বদহজম থেকে মুক্তি পেতে আপনি যা খেতে পারেন ।
মৌরি: নাম শুনেছেন অনেকেই ।এটা অনেকের রান্নাঘরে থাকে । পানি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ১/ ২ চামচ ঢেলে দিন । কিছুক্ষণ পর মানে গরম কিছুটা কমলে একটু একটু করে খান ।
আদা: আদা সবার ঘরেই থাকে । অনেক কাজে লাগে এই আদা । তাই বদহজমের সমস্যা দূর করতে গরম পানি, লবণ ও আদার রস মিশ্রিত করে খান ।
পুদিনা পাতা:
পুদিনা হজমে সহায়ক এবং পেটের গ্যাস কমায়।
ব্যবহার: পুদিনা পাতার রস, চা বা সালাদে ব্যবহার করুন।
জিরা:জিরা হজমের এনজাইম নিঃসরণ বাড়ায় এবং বদহজম থেকে মুক্তি দেয়।
ব্যবহার: এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ জিরা সিদ্ধ করে পান করুন।
দই:দইতে প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজমে সাহায্য করে।
ব্যবহার: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক বাটি দই রাখুন।
তুলসী পাতা:তুলসী গ্যাস ও হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে।
ব্যবহার: ৫-৭টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার:
পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে।
ব্যবহার: এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ মিশিয়ে খাবারের আগে খান।
এলাচ ও লবঙ্গ:এরা হজমে সহায়ক এবং বদহজম ও গ্যাস কমায়।
ব্যবহার: খাবারের পরে একটুকরো লবঙ্গ বা এলাচ চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আরও যা করতে পারেন ।
বদহজমের সমস্যার দূর করতে আরও কিছু করণীয় হতে পারে:
জীবনধারায় পরিবর্তন
নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা হাঁটা, যোগব্যায়াম বা প্রাণায়াম হজমে সহায়ক।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম বদহজম প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ: পাকস্থলীর কার্যক্রম ঠিক রাখতে সহায়ক।
নিয়মিত সময়ে খাবার খাওয়া: হজমের ছন্দ বজায় রাখে। নিয়মিত খাবার খেতে হবে ।
পোষণবান খাদ্য নেওয়া: আপনার ভোজনে বিভিন্ন প্রকারের পোষণবান খাদ্য যোগ করতে সতর্ক হোন, যাতে শরীর সুস্থ থাকে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা হোক, যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, যত্ন নেওয়া, এবং প্রতি দিনে পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া।
প্রযুক্তি প্রবল খাদ্য এবং চোখ দেখা: প্রযুক্তি প্রবল খাদ্য এবং বাইরের মাধ্যমে দেখা সুন্দর দৃশ্যে হোক তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।
চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ: যদি বদহজমে সমস্যা দেখা যায়, তাদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি?
যদি বদহজম দীর্ঘস্থায়ী হয়, ওষুধ বা ঘরোয়া পদ্ধতি কাজ না করে, অথবা নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
রক্ত বমি বা কালো রঙের পায়খানা
অনিয়মিত ওজন হ্রাস
তীব্র পেট ব্যথা
ক্ষুধামন্দা দীর্ঘস্থায়ী হলে
বদহজম একদিকে যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক প্রশান্তি—এই তিন উপায় বদহজম প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।