লেখা পড়া করছেন ? কিছু মনে রাখতে পারছেন না ? কোন কিছুই মনে রাখতে পারছেন না ? কোন জায়গার নাম, কোন ব্যক্তির নাম , এমনকি ফোন নম্বরও মনে রাখতে পারছেন না ? আর একারণে আপনি মনে করছেন যে আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না ? আপনি তো আর বুড়ো হয়ে যাচ্ছে না ? টিনেজারদের বলছি ।
আসলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে । এটা কিন্তু একটা স্বাভাবিক বিষয় । তখন মনে না থাকাটা তেমন কোন সমস্যা বলা যায় না । তবে সেটাকেও ঠিক করা যায় । আসলে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে । তাছাড়াও বিভিন্ন অনুশীলনও করা যেতে পারে ।
মনোবিজ্ঞান এবং পুষ্টি বিজ্ঞান থেকে জানা যায় কিছু খাবারের মাধ্যমে স্মৃতি শক্তি বাড়ানো সম্ভব। নিম্নলিখিত কিছু খাবার মধ্যে অনেকগুলি মৌলিক পুষ্টি উপাদান থাকে, যা মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোশারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে:
১. মাছ: মাছে এমিনো অ্যাসিড ও অমেগা-৩ ফ্যাট পুরোপুরি পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও স্মৃতিশক্তির উন্নতি করে।
২. শাকসবজি: ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সহ শাকসবজি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩. নারকেল: নারকেলে মৌলিক মেডিয়াম চেইন ট্রিগ্লিসেরাইড থাকে, যা মনোস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৪. বাদাম: বাদামে ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম, এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. কিশমিশ: কিশমিশে রেজিন এসিড ও ভিটামিন এ থাকে, যা স্মৃতি ও মানসিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৬. কালোজিরা: কালোজিরার ভিটামিন বি২ থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৭. চকলেট মিশ্রিত দুধ: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দিনে ২ বার চকলেট মিশ্রিত গরম দুধ খেতে পারেন । গরম চকলেটের প্রভাবে মস্তিষ্কের ধমনীতে রক্ত প্রবাহ ত্বরান্বিত হয়ে স্মৃতিশক্তি ৩০.৫% বাড়ায় ।
৮. টমেটো: টমেটো কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে স্মৃতিভ্রংশ বা স্মৃতির অবক্ষয় হ্রাস পায়। তাই প্রতিদিন সালাদে টমেটো খেতে পারেন।
স্মৃতি শক্তি বাড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত খাবারগুলি একটি সম্পূর্ণ ও সময়ে সেবন করা উচিত। আপনি প্রতিদিন এই খাবারগুলি সম্মিলিত করতে পারেন যাতে আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও স্মৃতিশক্তি উন্নতি হতে সাহায্য করে।
একটি স্বাস্থ্যকর ও ব্যালান্সড খাদ্য বিকল্প নির্বাচন করা সাধারণভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কারকগুলি সমর্থন করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন নিয়মিত ব্যায়াম, স্বয়ংসেবন, বিশ্রাম, ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।