পারকিনসন রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি ?

 এ যাবৎ যতগুলো মারণ ব্যাধি রোগ রয়েছে তার মধ্যে পারকিনসন নামক রোগটি অন্যতম । আমরা কি এই পারকিনসন রোগ সম্পর্কে জানি ? এখন হয়তো অনেকে বলবেন যে এই রোগ সম্পর্কে তেমন কিছু এখন শুনা যায় না । আচ্ছা আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন যে আসলে শোনা যায় কি না ? বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখেন । 



Parkinson  disease





পারকিনসন রোগ কি ? 










পারকিনসন রোগ হলো একটি নিউরোলজিকাল বা নিউরোডেজেনারেটিভ রোগ, যা মোটর গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করা ক্ষমতার হ্রাসের কারণে হয়। এই রোগে নিউরনগুলি ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়, যা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ করা গতি ও অন্যান্য নিউরোমাস্কুলার কাজের সাথে যুক্ত সাধারণ কার্যক্রমে দুর্বলতা উৎপন্ন করে।










অন্য কথায় বলা যায় পারকিনসন রোগ মস্তিষ্কের একটা অবস্থা যা হাতে ও‌ পায়ে কাঁপুনি ‌হয় । তাছাড়াও রোগীর চলাচলে সমস্যা হয় । বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন ব্যাধি যেমন ডায়াবেটিস, বাত, স্মৃতিভ্রম ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়তে থাকে। বিশ্বের দিকে তাকালে পারকিনসন রোগের আক্রান্ত মানুষ দেখা যায় । অনুভূতি এরকম যে তারা নিজেরা না চাইলে দেখা যাচ্ছে যে তাদের হাত বা পা কাঁপছে । 












পারকিনসন রোগের লক্ষণগুলো কি কি ? 








লক্ষণ: পারকিনসন রোগের মূল লক্ষণগুলো অনেকগুলি হতে পারে, যেমনঃ










ত্রান্স হেসিটেশন (চলাফেরা শুরু করতে অস্বতন্ত্রতা): শুরুতে হাঁটা বা চলাচল করতে সমস্যা হতে পারে।








স্লো মুভমেন্ট (ধীর গতির চলাফেরা): সাধারণত সামান্য কাজের জন্য অনেক সময় লাগে।








মাসিক মুড পরিবর্তন: মন অবস্থা পরিবর্তনের সমস্যা হতে পারে, যেমন অবহেলা বা উদাস মন।








মাসিক অস্থিরতা: শারীরিক অস্থিরতা অথবা শিথিলতা।








 ঘ্রাণ : সাধারণত পারকিনসন রোগের লক্ষণ হল কোন কিছুর ঘ্রাণ না পাওয়া । 








হাতের রেখা : আরও একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হল হাতের রেখা ছোট হয়ে আসা । 








কাঁপুনি: হাত পা ছাড়াও চোখের পাতায় কাঁপুনি হয় ।








কোষ্ঠকাঠিন্য: কোষ্ঠকাঠিন্য পারকিনসন রোগের অন্যতম লক্ষণ। 








গিলতে অসুবিধা : খাবার খাওয়ার সময় এই সমস্যা দেখা দেয় ‌ ।
















এই লক্ষণগুলো পারকিনসন রোগের মধ্যে সম্পর্কিত হতে পারে, তবে প্রতিটি ব্যক্তির অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। পারকিনসন রোগের নিশ্চিত সেবা ও চিকিৎসা পেতে একজন নিউরোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।












পারকিনসন রোগের কারণ সমুহ কি কি ? 








কারণ: 








পারকিনসন রোগের কারণ এখনো পূর্ণতা সহজে বোঝা যায়নি, তবে পারকিনসন প্রাথমিকভাবে ডোপামিন নামক একটি রাসায়নিক নিউরোট্রান্সমিটারের অভাব বা অপরিমিতির কারণে ঘটে। চিকিৎসার দিকে, চিকিৎসা এবং পরিচর্যার পরিপ্রেক্ষিতে ডোপামিন পরিবর্তনের মাধ্যমে লক্ষণগুলো প্রবণতা বাড়াতে পারে। অনেক সময় চিকিৎসা যেমন মেডিকেশন বা পুনরায় রুচির কাজের বিষয়ে সাহায্য করতে পারে।










 এটি অনেক সময় উপসর্গী কারণগুলোর সাথে সংযুক্ত হতে পারে, যেমন:










উপসর্গী রোগের পরিবারিক ইতিহাস: পারকিনসন রোগের ঝুঁকি থাকে যদি পরিবারের কারো থাকে বা ছিল এমন হলে । অর্থাৎ পারকিনসন রোগ আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে পাচ্ছেন । এককথায় বলা যায় যে পারিবারিক ইতিহাস একটা কারণ ।










জীবাণুগত এবং জীবসংক্রান্ত : কিছু পর্যায়ে জীবাণুগত বা জীবসংক্রান্ত কারণে পারকিনসন রোগ উৎপন্ন হতে পারে।










অতিরিক্ত পারকিনসন: কিছু পারকিনসন রোগের উৎপন্ন হতে পারে অন্য কোনও নিউরোলজিক সমস্যার ফলাফলে।












পরিবেশগত পারিশ্রমিক: কিছু প্রযুক্তিগত পারিশ্রমিকের সাথে সম্পর্কিত কাজে অবদান মূলক হতে পারে, তবে এটি এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। আবার রাসায়নিক বা কীটনাশক এর দীর্ঘতর প্রভাবে হতে পারে । 










বয়স্কদের : বয়স্কদের ক্ষেত্রেও সম্ভবনা থাকে । কিন্তু তাই বলে যে অল্প বয়সীদের হয় না তা নয়। হতে দেখা যায় তবে সেটা খুব কম । 










সাধারণত, পারকিনসন রোগ উৎপন্ন হওয়ার জন্য এই কারণগুলির সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে। তবে, সকলের জন্য এই কারণগুলি একই নয়, এবং একজন ব্যক্তির কারণগুলি উপেক্ষা করা যেতে পারে ।










পারকিনসন রোগ হলে করণীয় কি হতে পারে ? 







যেভাবে একজন ব্যক্তি পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হলে তার করণীয় কি হতে পারে , তা নিম্নলিখিত হতে পারে:
















ডাক্তারের পরামর্শ নিন: পারকিনসন রোগের লক্ষণগুলো সনাক্ত করার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা প্রারম্ভ করুন।










নির্দেশনাপূর্বক চিকিৎসা করুন: আপনার ডাক্তার দ্বারা নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ নিন এবং পারকিনসন রোগ এর চিকিৎসা প্রাক্তন করুন।
















ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করা পারকিনসন রোগের লক্ষণগুলো মোকাবেলা করার সাহায্য করতে পারে এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে সাইকেল চালান। 












সহযোগিতা এবং সমর্থন পেতে নিজেকে সামাজিকভাবে জোড়া প্রদান করুন: পরিবার, বন্ধু, এবং অন্যান্য সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের সহানুভূতি এবং সমর্থন প্রাপ্ত করুন।











আপনার খাবারের সমৃদ্ধতা নিশ্চিত করুন: সুস্থ খাবার খেতে অথবা পুরোপুরি খাবার পরিবর্তন করুন যাতে আপনি সমৃদ্ধ পুষ্টি লাভ করতে পারেন। ভিটামিন সি ও ডি যুক্ত খাবার খান । 












মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে ভিজিট করুন: মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্ত করার জন্য মন ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবাগুলি খুঁজুন এবং সাথে যোগাযোগ করুন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম