চলছে শীতকালীন আমেজ। প্রতিদিন সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শীতের আমেজ রয়েছে । তবে পর্যাপ্ত শীত এখন তেমন দেখা যাচ্ছে না । গরমের মৌসুম শেষে যখন শীতের মৌসুম শুরু হয় তখন শীতে কিছু রোগের উদ্ভব ঘটে । তাই আজকের এই লেখায় জানবেন
এই বিষয়টা খেয়াল করেছেন কি কখনো ? আপনার ঠান্ডা লাগছে । এমতাবস্থায় যদি আপনি ঠান্ডা কোন কিছু খান , হতে পারে সেটা ঠান্ডা পানি পান তখন আপনার কেমন অনুভূত হয় ? তখন নিঃশ্চয়ই বিরক্ত লাগবেই । তাছাড়া আপনি তেমন গ্রহণ করতে পারবেন না । ঠিক এই সময় আপনাকে যদি গরম কিছু দেয়া হয় তখন সেটা অনায়াসে গ্রহণ করতে পারবেন । শীতকালীন ব্যাপারটাও এরকমই।
শীতে কি কি রোগ দেখা যায় ?
শীতে যে সমস্ত রোগ দেখা যায় তারমধ্যে কিছু নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য।
১. বাত : বাতের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদেরকে বলছি অন্তত শীতকালে একটু সতর্ক থাকুন । কারণ শীতে বাতের প্রকোপ বেড়ে যায় । আপনি একটু অসতর্ক হলেই বাত আপনাকে পাকড়াও করবে ।
২.কানের রোগ: অনেকের কানের সমস্যা থাকে । ব্যথা থেকে শুরু করে পুঁজও বের হয় । এই যে কানের এই সমস্যা শীতে আপনি যন্ত্রণায় কাতরাবেন। কানের এই ইনফেকশন কানের বারোটা বাজিয়ে দেয় ।
৩. নিউমোনিয়া : নিউমোনিয়া শীতকালীন রোগের একটা । আর এতে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৪. ফ্লু: ফ্লু একটা পরিচিত সমস্যার নাম । সাধারণ সর্দি কাশি ফ্লু নয় তবে তীব্র হলে তাকে ফ্লু বলা হয় । আর এতে যে কি কষ্ট তা বলার মত নয়।
এখন বলি শীতকালীন রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে ।
১.হাঁটা-দৌড়া অথবা ব্যায়াম: নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর। এটি আপনার শরীরে প্রতিরোধশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
২.উপস্থিত খাবার: স্বাস্থ্যকর আহার খাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ফল এবং সবজি খাওয়া জরুরী।
৩.নির্দেশিত শীতকালীন টিকা: শীতকালে জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে টিকাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪.ব্যক্তিগত সানিটেশন প্রথা: সবাইকে হাত ধোয়া এবং নাক-মুখ আটকে চলা ফেরা করা । আর অন্যের ব্যবহৃত জিনিসপত্রে হাত না দেয়া ।
৫.বাত ব্যথা হলে কুসুম গরম পানি দ্বারা ধৌত করুন । আরাম পাবেন । প্রয়োজনে ডাক্তার দেখান
৬. কানের ইনফেকশনে অবশ্যই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে । আর ঠান্ডা কোন কিছু খাওয়া বা পান বা ব্যবহার করা যাবেনা ।
৭. ফ্লু এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম । ঠান্ডা কোন কিছুর ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। গরম পানি দিয়ে গোসল করুন ।