পরজীবী শব্দটির সাথে আমরা অনেক লোকই পরিচিত নই । তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ছাড়া আর তেমন কেউ পরিচিত নন এই পরজীবী সম্পর্কে। তবে বিজ্ঞান বিষয়ে যারা পড়েন তাদের ছাড়া হরহামেশাই কারো মুখে শুনা যায় না । তবে যারা পরজীবী সম্পর্কে শুনেন নি তাদের সামনে বললে আপনারা তার প্রতিক্রিয়া শুনতে পাবেন । একেক জনের একেক মন্তব্য শুনতে পাবেন ।
তো আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো এই পরজীবী নিয়ে । গভীরে যাওয়ার আগে এর প্রারম্ভিক বিষয়টা জানা উচিত । তাহলে প্রশ্ন দাড়ায় যে পরজীবী কি ?
পরজীবী কি ?
পরজীবী হল একটি জীবাণু, উদ্ভিদ, বা প্রাণী যা অন্য জীবন্ত জীবদের উপর নির্ভর করে জীবন প্রসারিত করে। এদের মধ্যে সংগঠিত বা অর্গানাইজমদের মধ্যে বংশ বিস্তার করতে বা পুষ্টি প্রাপ্তির জন্য আস্থান হিসেবে কাজ করে।
অর্থাৎ যে জীব অন্য জীব দেহে জীবন ধারণের জন্য বাসস্থান তৈরি করে তাকে পরজীবী বলে ।
পরজীবী কত প্রকার ও কি কি ?
পরজীবী দুই প্রকার । যথা:
১. বহিঃপরজীবী ও
২. অন্তঃপরজীবী ।
পরজীবী সংক্রমণ কি ?
পরজীবী সংক্রমণ হল পরজীবীর দ্বারা অন্য জীবন্ত পদার্থের উপর বা ভেতরে প্রবেশ করে সংক্রমণ বা রোগ সৃষ্টি করা। এটি পরজীবীর প্রসারকে উত্তেজনা দেয় এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পরজীবী সংক্রমণের একটি উদাহরণ হল ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের দ্বারা মানুষের উপর অসুখ সৃষ্টি করা, যেমন জ্বর, ক্ষতিকারক পেশীরোগ, ইনফ্লুয়েনঞ্জা, আইডিএস, এবং অন্যান্য অসুখের কারণে মানুষের জন্য ক্ষতিকর অবস্থা তৈরি হয় ।
পরজীবী সংক্রমণ এর ফলে কি ক্ষতি হতে পারে ?
পরজীবী সংক্রমণের ফলে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি হতে পারে, যেমন:
স্বাস্থ্য সংকট: পরজীবী সংক্রমণের ফলে মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের অসুখ ও অবস্থা উৎপন্ন হতে পারে, যেমন জ্বর, ক্ষতিকারক পেশীরোগ, আইডিএস, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, ফ্লু, ও অন্যান্য অসুখের কারণে মানুষের জন্য ক্ষতিকর অবস্থা।
অর্থনৈতিক ক্ষতি: পরিবারের কোনো সদস্য অসুখে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য অনেক খরচ হতে পারে, যা পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ক্ষতি করতে পারে।
অন্যান্য সংক্রমণ: পরজীবী সংক্রমণের ফলে আরেকজন সমান রোগী আক্রান্ত হতে পারে, যার কারণে রোগের ছড়ানোর আশঙ্কা বা প্রবল হতে পারে।
এই ক্ষতলোর প্রভাবের মাধ্যমে পরজীবী সংক্রমণ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়। প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করা এবং সম্প্রতি সাবান, ডিসিনফেকশন, পানির পরিশেষন ইত্যাদি প্রেরণ প্রদানের মাধ্যমে পরজীবী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে।
পরজীবী নির্মূলের উপায় কি ?
পরজীবী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিম্নলিখিত হতে পারে:
স্বত্ত্বাধীনতা মেনে চলা: স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সাবান বা হাত পরিষ্কার করতে যথা সম্ভব সময়ে আপনাকে আপনার প্রতি যত্নবান হতে হবে ।
হাত ধোয়া: বিশেষত খাবার প্রস্তুতিতে, খাওয়ার আগে ও পরে এবং শৌচাগার বা শৌচালয়ে হাত পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ।
ভ্যাকসিনেশন: পরজীবী প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিনেশন বা টিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পর্যাপ্ত অভিবাসন ও প্রতিরোধক্ষমতা প্রদান করতে সাহায্য করে।
পরিষ্কার ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষা: সমাজের সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতনতা উন্নত করতে সাহায্য করার জন্য সমাজের সাথে স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।