কোমর ব্যথা শরীরের অন্য ব্যথা গুলোর একটি । অর্থাৎ শারীরিক ব্যথার একটি হল কোমর ব্যথা । যার কোমরে ব্যথা আছে সে বুঝে তার কত কষ্ট । আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন না যে এতে কতটা কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় । দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে আপনি হঠাৎ করে উঠে দাঁড়াতে পারবেন না । দারুন কষ্ট বলা চলে । তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কোমর ব্যথার কারণ কি ?
আবার এমনও অনেক রোগী আছে যারা দিনের বসে কাটান । তারাও ব্যথায় ভোগেন। এক পর্যায়ে অবস্থা এমন হয় যে বসা থাকলে হঠাৎ করে দাঁড়াতে পারেন না । আবার বসার সময়ও দেখা যায় আস্তে আস্তে বসতে হয় । তাছাড়া সারাদিনে তো ব্যথা লেগেই থাকে । কোমরের মাঝ বরাবর এই ব্যথা থাকে । আবার অনেক সময় কোমরের দুই পাশেও অনুভূত হয় ।
এবার আসুন জেনে নেই কোমর ব্যথার কারণ কি ?
কারণ হিসেব করতে গেলে অনেক আছে । তার মধ্যে অন্যতম হলো:
১. আঘাত পাওয়া : যে কোন কারণ বশত কোমরে আঘাত পেলেন । সেক্ষেত্রে কোমড় ব্যথা হতে পারে । প্রায়ই রোগীর ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় ।
২. দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা : আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকেন বা বসে মে কোন কাজই করেন না কেন সেক্ষেত্রে আপনার কোমর ব্যথা হতে পারে । অনেক রোগীর ক্ষেত্রেও এরকম দেখা যায় ।
৩. কশেরুকার অবস্থানের পরিবর্তন: কোমর ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হলো মেরুদন্ডে থাকা কশেরুকার নিজ অবস্থান থেকে সরে যাওয়া । মানে পরিবর্তন হওয়া ।
৪. ইনফেকশন: ইনফেকশনের কারণেও কোমরে ব্যথা হতে পারে । তাছাড়া টিউমারও একটি কারণ হতে পারে ।
৫. পরিশ্রম না করা : শরীরের কর্মক্ষমতার জন্য পরিশ্রম করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আপনার শরীর ভাল থাকবে । বিশেষ করে আপনার কোমর । আর পরিশ্রম না করলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হবে ।
কোমর ব্যথা হলে করণীয় কি ?
১. দীর্ঘক্ষণ না বসা : একই জায়গায় একই ভঙ্গিতে বসে থাকবেন না । চাকরি করলে মাঝে মাঝে সময় বুঝে বিরতি নিন । একটু সময় আপনাকে বের করতে হবে ।
২. ঘুম : ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমালে ভালো হয় । কোমরে ব্যথা ব্যথা সৃষ্টি হয় এমন পজিশনে ঘুমাবেন না ।
৩. গরম সেঁক: কোমর ব্যথা অধিক হলে গরম সেঁক দিতে পারেন । এতে অনেকাংশেই ব্যথা দূরীভূত হবে ।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ : কোমর ব্যথার জন্য অনেকাংশে অতিরিক্ত ওজন দায়ী । তাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।
৫.স্বাস্থ্যকর খাদ্য: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্যের অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৬. ব্যায়াম: কোমর ব্যথার সর্বোৎকৃষ্ট ঔষধ হল ব্যায়াম । তাই প্রতিদিন নিয়মিত করে ১ ঘন্টা ব্যায়াম করুন । এতে কোমরে যে ব্যথা আছে তা অনেকটা কমে যাবে । তবে আজকে আর কোমরের ব্যায়াম সম্পর্কে কোন তথ্য দিলাম না । এটা আগামী পর্বে দেয়া হবে ।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যে কোন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন । প্রয়োজনে পরীক্ষা করান ।