শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে হৃদপিন্ড একটি । এটা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারেনা । গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তো অনেকই আছে । তার মধ্যে এটা একটা । যদি কারো হৃদপিন্ড অকেজো হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা একটা উপায় বের করেছেন । আর সেটি হলো কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড ।
কৃত্রিম হৃদয়পিণ্ড, অনুবাদে Artificial Heart, হলো এমন একটি ডিভাইস যা মানুষের হৃদপিন্ডের কাজ করতে ব্যবহৃত হয়। এই ডিভাইসগুলি মৌলিকভাবে হৃদপিন্ডের কাজ করতে সাহায্য করে।এই কৃত্রিম হৃদপিণ্ডের কাজের ধারায়, একটি বৃহৎ ব্যাটারি বা চার্জার দ্বারা চালিত হয় এবং হৃদয়ের কাজে প্রয়োজ্য সময়ে তার ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
আদোতে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড কিভাবে কাজ করে ? এটা কি মানুষের শরীরে থাকা হৃদপিন্ডের মত কাজ করে ? নাকি অন্য কোন উপায়ে কাজ করে ? তাহলে আসুন জেনে আসি তার সম্পর্কে।
কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড কিভাবে কাজ করে ?
কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড কিভাবে কাজ করে তা জানার আগে জানতে হবে তার উপকরণ সম্পর্কে । আর সেখানেই থাকবে বিস্তারিত বর্ণনা। এবার দেখা যাক তার কার্য প্রবাহ ।
১. হাইড্রোলিক পাম্প : হাইড্রোলিক পাম্পকে তো অনেকে চিনেন । তাছাড়া এটা কি কাজে লাগে তাও অনেকেই জানেন । আর এই হাইড্রোলিক পাম্পের কার্যানুসারে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করা হয় । চাপ সৃষ্টি করে তরল প্রবাহের জানান দেয় এই যন্ত্রটি ।
২. কপাটিকা: হৃদপিন্ডের একটি অংশ হচ্ছে কপাটিকা । এবার আসা যাক কপাটিকার কথায় । এখনতো রক্তের প্রবাহকে একমুখী করতে হবে । তার জন্য এই কপাটিকা । আর কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডেও কপাটিকা সংযোগ করা হয়েছে।
৩. তার বিহীন শক্তি সঞ্চালন : এখন শক্তি সঞ্চালনের তো প্রয়োজন । সেজন্য যা করা হয় । দুটি তারের কুন্ডলী থাকবে যার একটি ভিতরে ও একটি বাহিরে । আর দুটি ব্যাটারি যা ভেতরে ও বাহিরে বিদ্যমান। এখন এই দুই কুন্ডলীর কারনে তৈরি হওয়া চৌম্বকীয় শক্তির সাহায্যে শক্তির সঞ্চালন হয় বাহিরের ব্যাটারি থেকে ভিতরের ব্যাটারিতে।
৪. ভিতরের ব্যাটারি : ভিতরের ব্যাটারির কথা আগেই বলেছি । রোগীর পেটের ভিতর একটি চার্জিত ব্যাটারি বসানো হয় । যেটা হৃদপিন্ডকে ৩০-৪০ মিনিট যাবৎ চালাতে সক্ষম। এটা অবশ্য বুঝাই যাচ্ছে অল্প সময়ের জন্য।
৫. বাহিরের ব্যাটারি: ভিতরের ব্যাটারি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বাহিরের ব্যাটারিও । এটা আটকানো থাকে কোমরে ভেলক্রো নামক বেল্টের সাহায্যে । এটা ৪-৫ ঘন্টা চালাতে সক্ষম।
৬. কন্ট্রোলার: এখন প্রয়োজন কন্ট্রোলার বা নিয়ন্ত্রকের যা হৃদপিন্ডের কার্যবিধি পর্যবেক্ষণ করবে । আর এই কন্ট্রোলার থাকে রোগীর পেটের বাহিরে ।
এখন বিষয়গুলোও জানা দরকার:
বৃদ্ধি প্রযুক্তির উন্নতি: নতুন উপায়ে বৃদ্ধি প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, যাতে হৃদপিণ্ডের জীবনকাল বাড়ানো যায় এবং সেগুলি দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে।
স্থায়ী ইমপ্ল্যান্ট: কোনও অসুবিধা না হওয়ার জন্য হৃদপিণ্ড গুলির স্থায়ী ইমপ্ল্যান্ট উন্নত হচ্ছে, যা ব্যক্তির জীবনকে সহায়তা করতে পারে এবং বৃদ্ধি প্রযুক্তির জন্য সামর্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞ বিষয়ক: কৃত্রিম হৃদয়পিণ্ড ইমপ্ল্যান্ট করার জন্য চিকিৎসকদের নজর আছে যারা এই প্রক্রিয়াগুলির নিয়মিত অনুসরণ করে এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য সমর্থন প্রদান করতে পারে।
এই প্রযুক্তিগুলি মিলে সমস্ত হৃদরোগীদের জীবনকে বেশি উন্নত এবং সুস্থ করতে সাহায্য করতে পারে।