হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় কি ?

 আমরা প্রায়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনি । বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা । প্রতিনিয়ত অনেক লোক ভর্তি হচ্ছে আর অনেক লোক মারাও যাচ্ছে। আবার বলা যায় খুব বিপজ্জনক একটা রোগ ।‌আপনি হয়তো দেখবেন যে আক্রান্ত তার শারীরিক অবস্থা কি ।



Heart attack




এই যে মারাত্মক রোগ এটা । প্রতিরোধের উপায় তো আছেই ছে নাকি ? অর্থাৎ হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় কি ? হ্যা, আছে । আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ । তার হার্ট বা হৃদপিন্ড একটি ।‌ আপনার হৃদপিন্ড সুস্থ থাকলে আপনি সুস্থ । সে যাই হউক হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় কি ? 





হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়: হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সবথেকে কার্যকরী উপায় হলো জীবন যাপনে পরিবর্তন আনা । আক্রান্ত হওয়ার আগে যেভাবে জীবন যাপন করতেন এখন এই মুহূর্তে সেটা পরিবর্তন করতে হবে । এছাড়াও কিছু নিয়মাবলীতো আছেই । 





১. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: জীবনধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে । কোন মতে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না । কেননা চর্বিযুক্ত খাবার এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায় । 






২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা : হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উচিত হবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচ্চ রক্তচাপ হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন । 






৩. ধূমপান পরিহার করা: এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের ধূমপান না করলে ঐ দিনটিই ভালো লাগে না। এটা তাদের এক ধরনের মানসিক চিন্তা চেতনা। ইচ্ছে করলেই ছেড়ে দেয়া যায়। কিন্তু এ কথা ঠিক যে ধূমপানই হৃদরোগের অন্যতম একটি কারণ । শুধু কারণই না ঝুঁকিও বাড়ায় । তাই উপদেশ থাকবে ধূমপান পরিহার করার । 






৪.ব্যায়াম: ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী । হৃদরোগের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হল ব্যায়াম । আপনি যে কোন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন । 





৫. বিশ্রাম: হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মমাফিক বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে । আর এতে করে শরীরে সতেজতা ফিরে আসবে । 





৬.মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন:

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ এই রোগের অন্যতম কারণ। মেডিটেশন, পর্যাপ্ত ঘুম, ও পরিবার-বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।



৭.কোলেস্টেরল কমান

খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়লে হৃদপিণ্ডে চর্বি জমে, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও ব্যায়াম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।




৮.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। BMI অনুযায়ী ওজন বজায় রাখা জরুরি।




৯.পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন

প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমের অভাব হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।




১০. ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া: যে কোন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন । তার পরামর্শ ছাড়া নিজে কোন কিছু করতে যাবেন না । নইলে বিপদে পড়বেন । 





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম