ফাইলেরিয়া থেকে সাবধান ।

ফাইলেরিয়া কি ? 




পৃথিবীতে কতই না রোগ বিদ্যমান। কতক দেখা যায় শরীরে ভাইরাসের আক্রমণে । আবার কতক দেখা যায় মশা,মাছির কামড়ে । ঠিক তেমনি এক ধরনের রোগ নিয়ে আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু আর তা হলো ফাইলেরিয়া। এই ফাইলেরিয়া হল কৃমি জনিত রোগ । এখন বলতে পারেন রোগ গুলো কিভাবে দেখা দেয় শরীরে সেটা বলার দরকার কি ছিল ? আরে ভাই উত্তেজিত হইয়েন না । Wait . আসলে মূলত এই ফাইলেরিয়া রোগটি ছড়ায় মশার কামড়ে । মূল ঘটনা হল - মানব শরীরের ভেতর পুরুষ ও স্ত্রী ফাইলেরিয়ার মিলনের পর হাজার হাজার মাইক্রোফাইলেরিয়ার জন্ম হয়। মশা যখন রক্ত পান করে তখন তা ঐ মুহুর্তে মশার পেটে চলে যায়।


                              


Filaria





 মশার ভেতর এরা খোলস পালটায় এবং লার্ভায় পরিণত হয়। সেই মশা যখন আবার মানুষের রক্ত খেতে যায় তখন লার্ভাগুলো মানবদেহে প্রবেশ করে। পরবর্তী এক বছরে সেই লার্ভাগুলো আরো দুইবার খোলস পাল্টায় যা দুটি ধাপ অতিক্রম করে এবং পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় ।‌ ওহ্ হ্যা আর একটি কথা বলে রাখি একে কিন্তু গোদ রোগও বলা হয় । 


                                      






শান্ত হয়েছেন ? এবার তো‌ বুঝলেন কিসের সাথে connected ? . Ok । এখন প্রশ্ন করবেন তাহলেতো নিশ্চয়ই এর লক্ষণ আছে ? লক্ষণ কি ? হ্যা উত্তর হচ্ছে লক্ষণ আছে । তাহলে সেগুলো কি কি ? সেগুলো হল:-






১. প্রথম যে লক্ষণ দেখা যায় তা মূলত শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় । 






২. চামড়া ও তার নিম্নে থাকা টিস্যুর মোটা হওয়া । 




৩.পা ফুলে যাওয়ার পর পায়ের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।




এখন কথা হচ্ছে ফোলা অংশটা কোথায় কোথায় হতে পারে ? এটাওতো একটা প্রশ্ন তাই না ? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হাত,পা ,অন্ডকোষ, তাছাড়া নারীদের ক্ষেত্রে হাত,পা ছাড়াও তাদের যৌনাঙ্গ, স্তন ।‌




এখন আবার প্রশ্ন করতে পারেন এর বড় মারাত্মক রোগের তো চিকিৎসা তো নিশ্চয়ই আছে ? হ্যা আছে ।‌তার আগে রোগ তো নির্ণয় করতে হবে। তাই না ? রোগ নির্ণয় করা হয় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।‌ 




আচ্ছা এখন বলি এটা কোথায় দেখা যায় ? 




এ রোগটি বেশিরভাগ উত্তরাঞ্চলে দেখা যায়। 




চিকিৎসা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় চিকিৎসা ব্যবহার করা হয় অ্যান্টি-হিস্টামাইন ঔষধ ও ব্যথা নিরাময়ে ব্যবহৃত ঔষধ। আর একেবারে নিরাময়ের জন্য করা হয় রক্তে ফাইলেরিয়া পরজীবীদের সংক্রমণ থেকে বাঁচা । এটি হল সর্বোত্তম প্রক্রিয়া। লিভার সমুহ পরজীবী অবস্থায় থাকতে মেরে ফেলতে পারলে মামলা ডিসমিস ।‌তাই যতটা সম্ভব সেদিকে নজর দিন । সেই সাথে ডাক্তার তো আছেই। তবে আর একটি ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে যদি এলিফেন্টায়াসিস একবার হয় তবে এর কোনো চিকিৎসা নেই । এতে ক্ষতিটা আপনারই হবে । অনেক সময় অঙ্গ কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে । তাই সাবধান আগের ভাগেই সতর্ক হউন । তবে অন্ডকোষ আক্রান্ত হলে সর্জারিতে উপকার মিলতে পারে ।






প্রতিরোধ: যে গুলো না করলেই নয়।  






১. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা ।




২. মশার বিস্তার ধ্বংশ করা




৩. ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা‌ 




৪. আবার মশা যাতে না কামড়ায় তার জন্য স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।‌




এখন বলি রোগী কিভাবে থাকবে ? 




১. তার পুর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন




২. হাত-পা অর্থাৎ সমস্ত শরীর পরিষ্কার রাখা যাতে করে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ না হয় ।‌




৩.অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করা 




৪. ক্ষত চিহ্ন হচ্ছে কিনা তা খেয়াল‌ রাখা ।




৫. হাঁটা হাঁটি করা যাতে করে অন্তত ফোলা কমানো যায় । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম