গেজ বা অ্যানাল ফিশার কি ?
মানুষের অনেক জৈবিক কার্যাবলি আছে তারমধ্যে একটি হল প্রস্রাব,পায়খানা করা । আর এই রাস্তাদ্বয় শরীরের খুবই সংবেদনশীল জায়গা। আমরা যে মল ত্যাগ করি যে জায়গা দিয়ে তার থেকে দুই ইঞ্চি বাইরের জায়গা ঠিক এরকমই সংবেদনশীল। যা একটি অসুস্থতা যা ঠিক এইখানে সমস্যা সৃষ্টি করে।
এখন বলি পরিস্থিতি : সব রোগ হলেই মানুষ এর মর্ম বুঝে । গেজও তার ব্যতিক্রম নয় । গেজ দেখা দিলে একজন মানুষ কোন কোন অনুভূতি অনুভব করেন ? সেটা কি জানেন ? কেউ কেউ বলেন , শরীরের কোথাও মরিচ ছেঁচে লাগালে কেমন লাগে ? ওইখানে ঠিক এরম লাগে । আবার অনেকে বলছেন,ব্লেড দিয়ে কাটলে যেরকম লাগে, ঐ রকম । আপনার কেমন লাগে সেটা কিন্তু জানাবেন কমেন্ট বক্সে ? ওহ্ হ্যা, ব্যথা হওয়ার সাথে রক্তও ঝরতে পারে । এ বিষয়টি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এড়িয়ে যাওয়া চলবেনা । সমস্যাটা শুরু হয় এখান থেকে ।
লক্ষণ কি ?
গেজ বা অ্যানাল ফিশারের কারণে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে:
ব্যথা: গুদামুখে অনুক্রমে ব্যথা বা আঘাত বলে উপস্থিত হয়। এটি অবস্থানগুলোর জন্য সাধারণত স্থানিক হয়, এমনকি দিনের সময়েও ব্যথা অনুভব করা হতে পারে।
জ্বালা: গেজ বা অ্যানাল ফিশারের সময় পরিষ্কারতা করার পরে জ্বালা উপাস্থিতি অনুভব করা হতে পারে। জ্বালা হলে পানিসহ তুলনামূলক সাধারণ ব্যথা অনুভব করা হয়।
রক্তস্রাব: অনেক সময় গেজ বা অ্যানাল ফিশারের সময় রক্তস্রাব হয়। এটি সাধারণত পরিষ্কার করার সময় বা পাশ্চাত্য প্রস্তুতি করার সময় অনুভব হয়।
খুলে যাওয়া চারপাশের চামড়া: গেজ বা অ্যানাল ফিশারের জন্য চারপাশের চামড়া অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।
কারণ:
১. গরু, খাসি ও শূকরের মাংস বেশি খেলে,
২.ভাজাপোড়া বেশি খেলে আর শাকসবজি, ফলমূল ও পানি কম খেলে যার কারণে পায়খানা শক্ত হয়ে যেতে পারে ।
৩.জোর দিয়ে পায়খানা করতে গেলে কিংবা যৌন সম্ভোগের সময় সংবেদনশীল জায়গার আবরণ ছিড়ে যেতে পারে ফলে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।
করণীয় :
১. প্রথম ক্ষেত্রে যে ব্যথা হয়, তার জন্য আপনার উচিত হবে পরিমাণ মত হালকা গরম পানিতে আক্রান্ত স্থানসহ ১৫-২০ মিনিট বসে থাকা। দিনে দুবার করতে পারলে মাংসপেশি শিথীল হয়ে ব্যথাটা কমে আসে। পাকা পেঁপে অথবা ইসবগুলের ভূষি খান , আরাম পাবেন।
২.পুষ্টিকর খাদ্য: প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার পুষ্টিকর খাদ্যে যথাযথ প্রমাণে ফাইবার প্রয়োজন। ফল, সবজি, পুষ্টিকর খাবার, প্রোবায়োটিক খাদ্যগুলি যোগ করা যেতে পারে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
৩.পরিচ্ছন্নতা ও সাবান: আক্রান্ত স্থান পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত। প্রতিটি প্রস্তুতির পরে পরিষ্কারতা করুন। সাবান ব্যবহার করে মালিশ করুন এবং পরিষ্কার করার পরে ভালভাবে ধুয়ে নিন।
৪.হালকা জাক্স ও টয়লেট পেপার: হালকা জাক্স ব্যবহার করুন এবং আক্রান্ত স্থানের চারপাশের এলাকার মধ্যে ভালভাবে পরিষ্কার করুন। টয়লেট পেপার ব্যবহার করার সময় অত্যন্ত সাবধানে হাত রাখবেন যাতে চাপ না পড়ে ।
৫. ডাক্তার দেখান। যদি ঘরোয়া উপায়ে না কমে তাতে অপারেশন এর প্রয়োজন হতে পারে । তবে সেটা ডাক্তারই বলবেন ।
অপারেশন করার পরেও কি আবার হতে পারে ?
আবার আক্রান্ত হওয়াটা খুবই বিরল । মানে সচরাচর দেখা যায় না।