অ্যাপেন্ডিসাইটিস কীভাবে বুঝবেন ?

এপেন্ডিসাইটিস হল আপেন্ডিক্স নামক অংশের সংক্রামণিক অবস্থা। আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়তো ভোগেছেন । আহা কি অসহ্য যন্ত্রণা । মানুষের বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো কনিষ্ঠ আঙুলের মতো একটি সরু থলের নাম অ্যাপেন্ডিক্স। লম্বায় এটি ২ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। 




                                


appendicitis







এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা অত্যন্ত বিরক্তিকর হতে পারে এবং সাধারণত এটি পেটের ডান পাশে একটি নীচের অংশে শুরু হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলো একটি ভ্যাগমন্টার মত হতে পারে, যাতে অন্তহীন ব্যথা হয় এবং কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা মনে হয়। পেটের ডান পাশের নিচে দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যথা থাকতে পারে।




তবে মারাত্মক বিষয় যে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গেলে পুরা পেটে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে ।‌ তখনই ব্যথা টের পাওয়া যায় ।‌






কিভাবে হয় ? 






অ্যাপেন্ডিক্স এর গহ্বর যদি কোনো কারণে বন্ধ হয় তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয় ।‌ অর্থাৎ উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি মল দিয়ে তৈরি ক্যালসিফাইড পাথর, পরজীবী, পিত্তাশয় পাথর, টিউমার ইত্যাদি লুমেন বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।‌ ফলাফল অ্যাপেন্ডিক্সের টিস্যুতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে সহজেই ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হয়।‌ আর এতেই প্রদাহের ফলে অ্যাপেন্ডিক্স অনেক ফুলে যায় ফলে এর টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও একপর্যায়ে মরে যেতে থাকে। আর এটাই সেই মারাত্মক অ্যাপেন্ডিক্স ।‌






এপেন্ডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলো নিম্নরূপে যেমন:




পেটের উপরের দিকে ব্যথা: আপেন্ডিক্স যখন সংক্রামিত হয়, তখন পেটের উপরের দিকে ব্যথা হতে পারে। শুরুতে এটি একটি মিগবম্বম্বের মত হতে পারে, পরবর্তীতে এটি পেটের ডান পাশের নিচের অংশে ব্যথা বাড়তে পারে।




বৃদ্ধি পাওয়া: সময় থাকাতে এপেন্ডিক্স সংক্রামিত হলে এর আকার বৃদ্ধি পাওয়া যেতে পারে। আকারের বৃদ্ধি কারণে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে।




শারীরিক অসুস্থতা: এপেন্ডিসাইটিসের কারণে আপনার শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আপনার অসুস্থতার লক্ষণগুলো হতে পারে হতাশা, অতিসংকটাজ্ঞতা, দুর্বলতা, উঁচু তাপমাত্রা, বমি বা মাত্রা সমস্যা, অবকাশ ।






চিকিৎসা কি ?






যদি আপনার মনে হয় আপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলো আছে, তবে অবিলম্বে একটি চিকিৎসা গ্রহণ করুন । এপেন্ডিসাইটিস অনিবার্যভাবে পরিষ্কার চিকিৎসার প্রয়োজন । নিম্নলিখিত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো যেমন ব্যবহার করা হতে পারে:




ঔষধিগ্রস্ত চিকিৎসা (মেডিকেশন): সাধারণত এপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা হিসাবে এপেন্ডিসাইটিসের অস্থায়ী চার্মিক অনুস্থান অবশ্যই সরানো হয়। অপ্রয়োজনে ঔষধ প্রেসক্রিপশন করে ডাক্তার যাতে অন্যান্য সংক্রামিত অবস্থা নিষ্কার করতে পারে।








কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ? 






এপেন্ডিসাইটিস সন্দেহ থাকলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারেন। নিম্নলিখিত সতর্কতা মেনে চলুন:




লক্ষণ মনিটরিং: নিজের শরীরের লক্ষণগুলো মনিটর করুন। যদি আপনার পেটে সংক্রামিত আপেন্ডিক্সের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




পেটের ব্যথা অনুভব: যদি আপনি পেটে ব্যথা বা আন্তরিক অসুস্থতা অনুভব করেন, সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




তাপমাত্রা মনিটরিং: মেপে নিন আপনার শরীরের তাপমাত্রা। এপেন্ডিসাইটিসের সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




খাবার ও পানি সেবন: স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানি পান করুন। খাবারে জ্বালানি, কাঠবাদাম এবং প্রলাপনসহ স্পাইসি খাবারের চেষ্টা করবেন না।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম