বয়ষ্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা এ রকম ব্যথায় ভুগে থাকেন । আর তা হল বাত ব্যথা। আবার এর আগে একটি লেখায় ,"বাতের ব্যথা হলে কি করবেন ?" - শিরোনামে আলোচনা করেছি । সেখানে বলেছিলাম বাত ব্যথা নিরাময়ে যে খাদ্য গুলো খাওয়া উচিত তা নিয়ে একটি লেখা লিখব ।
সেই সূত্রে আজকের এই লেখা। তবে বাত সম্পর্কে জানতে হলে আগের লেখা পড়ে আসতে হবে । তো এখন চলুন শুরু করা যাক ।
১. মটরশুটি: মটরশুটি তো সবাই চিনেন । বাত ব্যথা নিরাময়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যাতে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে CRP কম করে । এতে আছে আয়রণ,ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম,ফলিক এসিড এবং জিঙ্ক।তাই খাদ্য তালিকায় রাখুন।
২.ব্রকলি ও বাঁধাকপি: বাত ব্যথা নিরাময়ে যে খাবার ঔষধের মত কাজ করে তা হল ব্রকলি । ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ব্রকলিতে আছে সালফোরেফেন । অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়া থেকে রক্ষা করে ।
আর বাঁধাকপি ক্রুসিফেরাস এর সদস্য। এতে যে উপাদান বিদ্যমান তা কার্টিলেজ এর ক্ষতি হ্রাস করে । আর ক্রুসিফেরাস শাক-সবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ।
৩. বেরি : কম বেশি সবাই একে চেনেন । ইউরিক এসিড কমাতে এর ভূমিকা রয়েছে। শুধু ইউরিক এসিড কমায় না ,জমতেও দেয় না । আর এ কারণেই জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হয় না । তাই বেরি আপনার জন্য বিকল্প হতে পারে ।
৪. হলুদ : হলুদের উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষত সারাতে খুবই কার্যকরী । এমনকি ব্যথা নিরাময়ে ঔষধের মত কাজ করে ।কুরকুমিন নামক উপাদান অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হতে পারে । তাই বাত ব্যথার অনন্য এক ঔষধ ।
৫.রসুন : রসুনের উপকারিতা নিয়ে আমার একটি আলোচনা রয়েছে । যাইহোক বাত ব্যথা কমাতে ভাল ফল দেয়। অল্প গরম তেল এবং এক কোয়া রসুন কুচি করে মিশিয়ে জয়েন্টে লাগালে ব্যথা উপশম হয় । তাই ঘরোয়াভাবে আপনি এই কাজ করতেই পারেন ।
৬. গ্রিন টি : চা তো কম বেশি সবাই পান করেন । চায়ের একটি হল গ্রিন টি রাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেকিন যৌগ থাকে ।আর এটা কি করে ? এটা এনজাইম ক্ষরণ কমায় । আর ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সময় করে গ্রিন টি পান করার চেষ্টা করুন।