সোয়াইন ফ্লু কেন হয় ?

 সোয়াইন ফ্লু একটি অতিপরিচিত ভাইরাসের নাম । সেই ছোটকাল‌ থেকে শুনে আসতেছি। প্রথম যখন শোনা যায় তখনই এই ভাইরাসের সংক্রমণের আবাস বিভিন্ন রেডিও, টেলিভিশনে তোড়-জোড় করে প্রচার করা হতো । কিন্তু এখন আর তেমন শোনা যায় না । তাই বলে কি ভাইরাস নিঃশেষ হয়ে গেছে ? আরে না ভাই । শেষ হয় নি । মাঝে মধ্যে একটু আধটু আভাস পাওয়া যায়। এবার আসুন তা জেনে নেই । 




                                             


Swine flu









সোয়াইন ফ্লু কি ?  








সোয়াইন ফ্লু একটি ভাইরাসের নাম যা শূকরকে আক্রমণ করে পাশাপাশি মানুষকেও। মূলত শূকরের মধ্যে পাওয়া যায় বলে এই ভাইরাসের নাম সোয়াইন ফ্লু রাখা হয় । ভাইরাস টাইপ A (H1N1) যা শ্বাসনালিতে ‌আক্রমণ করে থাকে । 












লক্ষণ কি,কি হতে পারে ? 








সোয়াইন ফ্লু এর লক্ষণগুলো সাধারণত শারীরিক এবং মানসিক দুটি ধরণে দেখা যেতে পারে। এই লক্ষণগুলো অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:








শারীরিক লক্ষণগুলো হতে পারে:








জ্বর বা তাপমাত্রা উচ্চ হওয়া।




সর্দি এবং নাক প্রবৃদ্ধি।




গলায় ব্যথা এবং কাশি।




শরীরের ব্যথা এবং মাংসপেশীর ব্যথা।




শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা।




শরীরের অস্থি বা মাংশ ব্যথা।




শুকনো কাশি এবং কানের ব্যথা।




বমি বমি ভাব 




মানসিক লক্ষণগুলো হতে পারে:








মনস্তাপ এবং দুর্বলতা।




মানসিক অস্থিরতা এবং স্বার্থপরতা।




নিদ্রাবঙ্গতা এবং অস্বস্তি।




চিন্তা, উদ্বেগ এবং অবাঞ্ছিত মনের অবস্থা।








কিভাবে ছড়ায় ? 








বিশেষ করে পশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে, ভাইরাস সমৃদ্ধ বায়ুতে শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়।




আর এই ভাইরাসপূর্ণ বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার কারণে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ও সংক্রমণ ঘটায়।




আর একটি‌ কথা না বললেই নয় যে পোলট্রি ফার্মে কাজ করা লোকদের সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি থাকে।












করণীয় কি ?












সোয়াইন ফ্লু সংক্রামনে প্রতিরোধ ও সতর্কতা বাড়ানোর জন্য আপনার নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করা উচিত:








হাত ধুয়া: নিয়মিতভাবে সাবান এবং পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন। হাত ধুয়ার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান মাখুন।








হাত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা: বাসায় থাকলে হাত সাবান এবং পানি না থাকলে হাত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। এটি অ্যালকোহল ভিত্তিক হতে হবে এবং অ্যালকোহলের শক্তি সঠিক হওয়া উচিত।








মুখ ও নাকের মাধ্যমে শ্বাস নেওয়া: বাচ্চাদের এবং সমস্ত বয়স্কদের জন্য শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যু বা বন্ধনী ব্যবহার করুন। নাক বা মুখ দিয়ে হাঁপাতে থাকলে তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।












চিকিৎসা কি ?












যদি আপনি সোয়াইন ফ্লু সংক্রামিত হন বা লক্ষণ দেখাচ্ছেন, তবে আপনাকে চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে। আপনি নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করতে পারেন:








চিকিৎসা সেন্টারে যান: আপনার স্থানীয় চিকিৎসা সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসা পেতে হবে। সেখানে ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলো নিরীক্ষণ করবেন এবং আপনাকে উচিত চিকিৎসা প্রদান করবেন।








বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন: আপনি যদি সোয়াইন ফ্লু সংক্রামিত হওয়া সম্ভবনা করেন কিন্তু লক্ষণগুলো অনুভব করছেন, তবে আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে উপযুক্ত পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করবেন।








নিরাপত্তা মেনে চলুন: চিকিৎসা সেন্টারে থাকার সময় ও সুস্থ হওয়ার পর পর্যন্ত, নিরাপত্তা কেবলমাত্র একটা সতর্কতার বিষয় ।












মৃত্যু ঝুঁকি আছে কি ? 












সোয়াইন ফ্লু সাধারণত মানুষের জীবনে গমনাগত একটি মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে না। সাধারণত, সোয়াইন ফ্লু একটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দেখা যেতে পারে , যেখানে সম্ভাবনা থাকে মানুষ সংক্রামিত হয়ে উঠার ।মানব গোষ্টিতে এই ভাইরাস আগে ছিল না , ফলাফল স্বরূপ এর বিরুদ্ধের প্রতিরোধের অভাবে কিছু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।








সোয়াইন ফ্লুর মাধ্যমে মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি কম হয়ে যায় যদি আপনি নিরাপদ অবস্থায় থাকতেন এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রস্তুতি ও সতর্কতার সাথে সম্পর্কিত সমস্যার মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি অল্প হয়ে যায়।








তবে, যদি আপনি যেকোনো সংক্রামণের লক্ষণ অনুভব করছেন বা কোনও সংক্রামণের মধ্যে রয়েছেন এবং আপনি অসুস্থ অবস্থায় আছেন, তবে অবিলম্বে চিকিৎসার সাহায্য নিন ।












সতর্কতা কি‌ কি ?












সতর্কতা হলো সতর্কতামূলক অবস্থা যা আমাদেরকে জীবনে সংঘটিত ঘটনা, ঝুঁকিপূর্ণ সম্ভাবনাসমূহ বা সংক্রামণের সংক্রান্ত সতর্ক করে। এটা আমাদেরকে সতর্ক থাকতে এবং সঠিক করণীয় অনুসরণ করতে উৎসাহিত করে। 








১. ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আগেই বলেছি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ।








২. যে মানুষের নাক দিয়ে পানি পড়ে, গলা চুলকায় এবং প্রচন্ড কাশি হয় তার শ্বাসতন্ত্রের উপর এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে তাই দ্রুততার সাথে এটাকে শেষ ‌করুন । না হলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।‌

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম