বার্ড ফ্লু একটি অতিপরিচিত ভাইরাসের নাম যা সোয়াইন ফ্লুর সমসাময়িক। রেডিও, টিভিতে আগে দেখতাম ঢালাও ভাবে প্রচার করা হতো । অন্তত মানুষকে এ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে । তাহলে আসুন জেনে নেই এই ফ্লু সম্পর্কে।
বার্ড ফ্লু কি ?
সাধারণত পাখির মাধ্যমে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়। পাখি এক জায়গা থেকে সহজে অন্যত্র যেতে পারে। ফলে বার্ড ফ্লুও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য এটি একটি বায়ুবাহিত রোগ।কখনও কখনও গৃহপালিত পশু-পাখিদেরকেও সংক্রমিত করতে পারে।এটি ইংরেজি ভাষাতে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাভিয়ান ফ্লু, বার্ড ইনফ্লুয়েঞ্জা, বার্ড ফ্লু ইত্যাদি নামে পরিচিত।এই ভাইরাস প্রায়শই পাখি বা পাখিদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে এবং মানবদেরও সংক্রমণ করতে পারে।
বার্ড ফ্লু ভাইরাসগুলির মধ্যে একটি মারাত্মক রোগবিশেষ হলো H5N1 ভাইরাস, যা অন্যান্য পাখি বা মানুষদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভাবনা খুব কম, কিন্তু সংক্রমিত হলে গভীর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
বার্ড ফ্লু এর লক্ষণ কি কি হতে পারে ?
বার্ড ফ্লু সংক্রামক হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি হতে পারে:
জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।
কাশি: একটি শব্দমুক্ত ও সূক্ষ্ম কাশি হতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। পাশাপাশি ঠান্ডা
গলাব্যথা: গলার মধ্যে ব্যথা হতে পারে এবং গলা তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
শরীরের ব্যথা: শরীরের প্রান্তিক অংশে মাংশপেশী ব্যথা হতে পারে।
শিশির ব্যথা: চোখের পাশে বা পরিবেশনায় শিশির ব্যথা অনুভব করতে পারে।
ক্ষুধামন্দা: ক্ষুধামন্দা অনুভব করতে পারে এবং খাবারের স্বাদ বা গন্ধ মিষ্টি হতে পারে।
ক্ষুধার্ত মাংশিক বা দেহের দৌর্বল্য: শারীরিক দৌর্বল্য এবং অস্বস্তির অনুভব করতে পারে।
বার্ড ফ্লু ছড়ায় কিভাবে ?
ছড়ায় সাধারণত কাশি প্রক্রিয়া দ্বারা ছড়ায়। বার্ড ফ্লু একটি সংক্রামক রোগ যা পাখি থেকে মানুষে ছড়ায়।
প্রাথমিকভাবে, বার্ড ফ্লু ভাইরাস পাখিদের মধ্যে সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাস পাখির মধ্যে একটি সাধারণ অনুবাদক হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে এই ভাইরাস সাধারণত অনুসরণ করে আরও পাখিদের সঙ্গে ছড়ায় । সংক্রমিত পাখির ডিম অথবা মাংস খেলেও ছড়াবে । এটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ।
মানুষের সাথে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে, বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানুষের স্বাভাবিক হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য মানুষের সাথে আকাশী পাখির সম্পর্কে থাকা প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র সংক্রমিত পাখির সংস্পর্শে আসা পর্যাপ্ত হতে পারে।
এতে মৃত্যু ঝুঁকি আছে কি ?
হ্যা, কিন্তু কিভাবে ?লক্ষণ খুব বেশি মাত্রায় দেখা গেলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
চিকিৎসা:
১. ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী ঔষধ দেবেন
২.বার্ড ফ্লুর প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওষুধ রয়েছে।
৩. ঠান্ডা থেকে দূরে থাকুন
প্রতিকার:
১. সংক্রমিত হচ্ছেন বলে মনে হয় বা আপনি সংক্রমিত তা হলে হাঁস, মুরগি বা অন্যান্য পাখির গোশত না খাওয়াই আপনার জন্য উচিত হবে । অসুস্থ হয়ে গেছে এমন হাঁস, মুরগি বা অন্যান্য পাখির থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।
২. চিড়িয়াখানায় এদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকুন । আমি বলব চিড়িখানায় না যাওয়াই শ্রেয়।
৩. গোশত খাবেন ? সিদ্ধ করে খান । কাঁচা বা আধাসিদ্ধ করে থাকলে বাদ দিন । কেননা এতে সংক্রমনের সম্ভবনা থাকে ।