আমরা প্রায়ই শুনে থাকি যে অমুক অমুক লোকের এলার্জি আছে , আর যে সমস্যা দেখা যায় সেটাও এলার্জি জনিত ।এমন অনেক লোক আছেন যারা এলার্জি সমস্যায় ভুগছেন। আবার অনেকে এড়িয়েও যাচ্ছেন । আজকে আমরা এলার্জি সম্পর্কে জানব ।
এলার্জি কি ?
পরিবেশে থাকা এমন কিছু বস্তু রয়েছে তা কিছু কিছু ব্যক্তির শরীরে যে প্রতিরক্ষাতন্ত্র রয়েছে তার অতিসংবেদনশীলতার কারণে সৃষ্ট তীব্র প্রতিক্রিয়াকে এলার্জি বলে ।
লক্ষণ:
১. চোখ লাল হওয়া,
২. চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি,
৩. নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া,
৪.শ্বাসকষ্ট
৫.চামড়া ফুলে যাওয়া।
যেসব জিনিসের সংস্পর্শে আসলে শরীরে এলার্জি দেখা দেয় তার মধ্যে রয়েছে—
নির্দিষ্ট কিছু খাবার ( গরুর গোশত, বেগুন ইত্যাদি )
ধুলাবালি
গরম অথবা ঠান্ডা আবহাওয়া
ঘাম
গৃহপালিত পশু-পাখি
পরাগ রেণু ও ফুলের রেণু
সূর্যরশ্মি
ছত্রাক
বিভিন্ন ঔষধ
কীটনাশক
ডিটার্জেন্ট ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা
যেসব খাবারে এলার্জি হতে দেখা যায় -
চিংড়ি
বেগুন
ইলিশ মাছ
গরুর মাংস
বাদাম
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ডিম ও দুধেও এলার্জি হতে পারে।
ঔষধ খাওয়ার পরেও যে লক্ষণ দূর হয় না -
ডাক্তারের দেওয়া ঔষধ খাওয়ার পর নতুন লক্ষণ দেখা দিলে কিংবা সমস্যা আরও বেড়ে গেলে
মারাত্মক ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে
করণীয়:
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন ও জীবনযাত্রায় কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলুন ।
মাত্রাতিরিক্ত দেখা দিলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তার দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন । নিজে মাতাব্বরি করে কিছু করতে যাবেন না ।
ঘরোয়া প্রতিকার ও জীবনযাত্রা
এলার্জি হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন ।
মানসিক চাপ মোকাবেলায় শারীরিক ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ও শ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।
গৃহপালিত পশু-পাখির বাসস্থান আলাদা রা
খবেন এবং তাদের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।
বিছানার চাদর, কাঁথা, বালিশ ,জানালার পর্দা সপ্তাহে একবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।