খাবার একটা আল্লাহর নেয়ামত । ক্ষুধা কেউই সহ্য করতে পারেন । আর এই ক্ষুধাকে বিদায় জানাতে আমরা কতই না খাবার খাই । সব খাবারেই কিন্তু উপকারিতা রয়েছে । আবার রয়েছে অপকারিতাও ।আজকে জানাব এমন কিছু একটা যেটার উপকারিতা না জানলেই নয় ।
এটা অবশ্য অনেকে চিনেন । আবার অনেকে চিনেন না । চিনে থাকলেও অনেকে এটার উপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আচ্ছা তাহলে কি বলে দেব এটা কি ? আচ্ছা থাক বলেই দেই ।আর তা হচ্ছে ওটমিল । নাম শুনে ব্রু কুঁচকে যেতে পারে অনেকের । মনে মনে বলতে ,'পারেন এটা আবার কি বলছে ? ' ।আরে ভাই সম্পুর্ণ লেখাটা আগে পড়ুন। তারপর না হয় মন্তব্য করবেন।
কারো না কারো অপছন্দ থাকতেই পারে । তাই বলে কি তার উপকারিতা থাকবে না ? এবার আসুন জেনে নেই ওটমিলের উপকারিতা ।
১. ক্ষুধা কমায় : ওটমিল একটা কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার । এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে তা তৃপ্তি বাড়ায় ও ক্ষুধা কমায় ।
২. ওজন কমাতে: প্রতিনিয়ত তাদের ওজন বেড়েই যাচ্ছে তাদের জন্য এই পরামর্শ থাকল যে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মোতাবেক ওটমিল খাবেন। কারণ এটা দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. মন ভালো থাকে : কোন কারণে মন খারাপ হয়ে গেল। কি করবেন ? রাগারাগি না করে ওটমিল খান। ওটমিল মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. হার্ট রোগের ঝুঁকি কমায়: যারা হার্টের রোগী তারা ভালো করেই জানেন যে হার্টের রোগ কতটি বেদানা দায়ক । তাই আপনাদের উচিত হবে ওটমিল খাওয়া ।
৫.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ওটমিল খাওয়ার প্রয়োজনীয় হবে । ওটমিল ব্রান ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ।
৬. ঘুম বাড়ায়: যাদের ঘুমের সমস্যা বা ঘুম কম হয় তাদের জন্য রয়েছে ওটমিল । ওটমিল হল মেলাটোনিনের একটি ভাল উৎস এবং সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায় , শুধু তাই নয় এর অতিরিক্ত সুবিধাও রয়েছে, যা ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করে ।