ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট একটি উপাদান যা ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে। ক্যালসিয়াম একটি মিনারেল যা শরীরের জীবাণু, অস্থিকণ্ঠ, দন্ত, মাংসপেশী ও অন্যান্য উপাদানের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেবার মাধ্যমে এই ট্যাবলেটগুলো শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে এবং স্বাস্থ্যকর অস্থি ও দন্তের জন্য বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
কিন্তু কথা আছে । আপনি কি যখন তখন তা খেতে পারবেন ? খেলেও কখন বা কতটুকু পরিমাণে খেতে পারবেন ? তাছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কি খেতে পারবেন ? কি মনে হয় আপনার ? আসুন এবার দেখি মূল কথা । তবে কি উপকারিতা জেনে নিই ।
১. অস্থিবৃদ্ধি: ক্যালসিয়াম অস্থি নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে আপনার অস্থির সুষম ও মজবুত হতে পারে। এটি যেন আপনার সন্ধান মজবুত করে ।
২.দন্তস্থানীয়তা: ক্যালসিয়াম দন্তের স্বাস্থ্য এবং দন্তস্থানীয়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া প্রতিদিনের পরিমাণে এটি বিপণিত করতে পারে এবং দন্তের মধ্যে উপস্থিত ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে পারে। এটি দাঁতের পরম সাজেশন এবং মজবুতি প্রদান করে যাতে দন্ত দুর্বল হতে না পারে।
৩.হাড় স্বাস্থ্য: ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে যা হাড় স্বাস্থ্য প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্যকর হাড় পরিশ্রান্ত হওয়া, হাড় শক্তিশালী করতে এবং হাড় সম্প্রসারণে সহায়তা করতে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সহায়তা করতে পারে।
এ তো কিছু উপকারিতা গেল । বাকি বিষয়গুলো কি জানবেন না ? মূল কথা হল আমরা রোগ নিরাময়ে ঔষধ গ্রহণ করি । কিন্তু তাই বলে যখন তখন কিন্তু ঔষধ খাওয়া যায় না । প্রতিটি ঔষধের কিছু না কিছু প্বার্শ-প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট আছে । ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয় ।
অনেকে মনে করেন ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য উপকারী এবং সারা বছর খাওয়া যায় । এ জন্য এই বিষয়টা জানা উচিত যে আসলে ডোজ কতটুকু থাকলে গ্রহণ করা যাবে এবং কতটুকু শরীরের ক্ষতি করতে পারে ।
প্রতিদিন কতটুকু ক্যালসিয়াম দরকার ?
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার । রজর্নিবৃত্তির (মেনোপজ) পর নারীদের এবং সত্তরোর্ধ্ব পুরুষদের ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার হয়। গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান যে মায়েরা তাঁদের লাগে একটু বেশি। অর্থাৎ আপনি খেতে পারবেন তবে সেটা সীমার মধ্যে থেকে । তবে আমার পরামর্শ হলো ট্যাবলেট না খেয়ে আমরা যে দৈনন্দিন জীবনে যে খাবার খাই তা থেকে কিন্তু ক্যালসিয়াম পেতে পারি । তাই ওই নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে । তবে হ্যা বয়ষ্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যদি সমস্যাটা বেশি হয় তবে খেতে পারেন অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে । ডাক্তার যেভাবে বলবেন সেভাবেই খেতে হবে ।
ট্যাবলেট ছাড়া পাওয়ার উপায়
পনির,দুধ, কাঁচা বাদাম,দই, সয়াবিন, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, কালো ও সবুজ কচুশাক, শজনেপাতা, পুদিনাপাতা, সরিষাশাক, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিংড়ি শুঁটকি, ডুমুর ইত্যাদি হলো উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার। ১০০ গ্রাম দুধে ক্যালসিয়াম আছে ৯৫০ মিলিগ্রাম, একই পরিমাণ পাবদা মাছে ৩১০ মিলিগ্রাম, সামুদ্রিক মাছে ৩৭২ মিলিগ্রাম, শজনে পাতায় ৪৪০ মিলিগ্রাম, ট্যাংরা মাছে ২৭০ মিলিগ্রাম। এক কাপ টকদইয়ে থাকে আরও বেশি ৪০০ মিলিগ্রামের মতো। আধা বাটি রান্না করা সবুজ পাতা আছে এমন শাক খেলে ১০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া হবে। এক গ্লাস কমলার রসে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম।
আর এভাবেই আমারা ক্যালসিয়ামের অভাব মেটাতে পারি ।