জোরে দাঁত ব্রাশ করলে যে বিপদ হতে পারে ।

 হাসতে কে না চায় ? মন খুলে হাসতে সবারই তো ইচ্ছে করে। আর তার জন্য চাই সুন্দর ও ঝকঝকে সাদা দাঁত। যদি হলুদ হয় তাহলে দেখতে কেমন দেখায় ? বন্ধুদের সাথে আড্ডায় আছেন, মন খুলে হাসতে পারছেন না । নিজের প্রতি খুব বিরক্ত লাগে তখন । 



Teeth brush


                                    




কিন্তু কখনো কি এ থেকে মুক্তির উপায় ভেবে দেখেছেন ? ভাবতে ভাবতে হয়তো প্রতিদিন সকালে বা রাতে দাঁত ব্রাশ শুরু করে দিলেন। তোও আবার কি জোরে জোরে । আপনি হয়তো মনে করছেন যে জোরে জোরে ব্রাশ করলে দাঁত বুঝি সুন্দর হয়ে যাবে । আসলে কি তাই ? তা ছাড়াও দাঁতের কি কিছু হচ্ছে ? 






যে সুন্দর দাঁতের আশায় দীর্ঘক্ষণ ধরে জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করছেন তা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে,পাশাপাশি মাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। । সুস্থতার জন্য যেমন শরীরের যত্ন নিতে হয় তেমনি দাঁতেরও যত্ন নিতে হয় । এতদিন যাবৎ এই যে ধারণাটা পোষন করে আছেন তাতে আমি পানি ঢেলে দিলাম । অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁত ব্রাশ করা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। এতে দাঁতের উপরের শক্ত আবরণ এনামেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে ‌ ।






আর এতে মুখের স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মুখে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও নানারকম অসুখের জন্ম দেয় । শুধু তাই নয়, গরম বা ঠান্ডা খাবার খাওয়ার সময়ে দাঁতে শিরশিরানিভাব দেখা দিতে পারে। তাই দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁত ব্রাশ না করে ৩-৫ মিনিট সময়ের মধ্যে শেষ করুন। 




শুধু তাই নয় দাঁত ব্রাশ করার জন্য প্রয়োজন ভালো মানের টুথপেস্ট। সুন্দর ও আকর্ষণীয় দাঁতের জন্য ভালো মানের টুথপেস্ট অতীব জরুরি। তাই টুথপেস্ট এর দিকেও নজর দিন । প্রতি তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করুন, নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম