চা, কফি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউবা চা কফি , কেউবা কফি পান করতে পছন্দ করি। চা এবং কফি উভয়ই বিভিন্ন স্বাস্থ্যসম্মত উপকার প্রদান করতে পারে, তবে উপকার গুলো অল্পভাগে ভিন্ন হতে পারে। আজকে আলোচনা করব গ্রিন টি ও কফির মধ্যে কোনটা উত্তম ।
গ্রিন টিতে ক্যাফেইন এবং এক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা ক্যাটচিন নামে পরিচিত। ক্যাটচিন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ক্যাটচিন হজমপ্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং দেহের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয়।
গ্রিন টি একটি বিশাল রকমের তাঁতপাতা ও পানি একটিতে যুক্ত হয়ে থাকে, যা ধারণা করা হয় যে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসম্মত উপকার দিতে পারে। গ্রিন টি অনেক ধরনের থান উপকারিতা দিতে পারে, যেমন শরীরের অক্সিডেশনের প্রতিরোধ, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্যসম্মত রাখা, পাচন প্রক্রিয়ার সহায়তা, চর্মের সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত রক্ষা ইত্যাদি।
কফি সাধারণত মধুময় দ্রব্য ও ক্যাফিনের উচ্চ পরিমাণ সম্পন্ন, যা মন উদ্রেককারী সামগ্রী। কফি উপভোগ করার ফলে মনের চিত্তিন্দ্রিয়তা ও জাগরূকতা বৃদ্ধি পায়, এটি সম্ভবত শরীরে উত্তেজনা এবং শক্তির পরিমাণও বৃদ্ধি করতে পারে। কফি আগ্রহবোধ বা আলাদাভাব প্রবৃদ্ধি করতে পারে, সামগ্রিকভাবে বিশ্রাম প্রদান করতে পারে এবং নির্মাণ কাজে প্রচুর সময় প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করতে পারে।
কফির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যাফেইন ওজন কমায় এবং মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে। তবে প্রতিদিন ২-৩ কাপের বেশি পান করা উচিৎ না। গবেষণা বলছে, এটি হজম ক্ষমতা ৩ থেকে ১১ শতাংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের কথা আসে তখন গ্রিন টি ব্ল্যাক কফির চেয়ে বেশি উপকারী।
তাই, আপনি যদি শরীরের অক্সিডেশন বা পাচন প্রক্রিয়ার সহায়তা, হৃদপিণ্ড স্বাস্থ্যসম্মত রাখা, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি সম্পর্কে উচ্চারণ করেন, তবে গ্রিন টি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। আপনি যদি আগ্রহবোধ, বিশ্রাম বা শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি, মন উদ্রেককারী পানিতে আগ্রহী হন, তবে কফি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।