মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করার উপায় কি ?

আপনি কি মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন ? অসহ্য যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ? কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না ? প্রথমেই আমরা জেনে নেই আসলে মাইগ্রেনের ব্যথা কি ? অনেকে জানেন । আবার জানেন না যে আসলে এটা কি ? হয়তোবা তাদের হয় নি । যাই হউক মুল কথায় আসি। 



Migrain pain


                                   

মাইগ্রেন একটি অত্যন্ত ব্যথাপ্রদ একটি প্রকার শিরস্ত্রাণ ব্যাধি বা মাথা ব্যথা যা অনুভব করা হয়। মাইগ্রেন একটি ক্রনিক ও প্রকাশিত রোগ যা ক্রনিক শিরস্ত্রাণ ব্যথা সৃষ্টি করে এবং তা অনুভব করেন যারা মাইগ্রেনের রোগী। অন্য কথায় বলা যায় মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে । ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এ ব্যথা থাকতে পারে।সেই সাথে থাকতে পারে বমিভাব কিংবা বমি, আলো বা শব্দে খারাপ লাগা ইত্যাদি।‌




মাইগ্রেনের লক্ষণগুলো হতে পারে একটি মাথা ব্যথা যা সাধারণত একপাশে বা উভয় পাশে হয়, অস্থানিক ব্যথা, মাথার বেশিরভাগ অংশ আরাম করে নেই ।‌ সময়ের সাথে লক্ষণগুলো বাড়ে এবং মাথা ব্যথা শুধুমাত্র জোরের পরে তা বুঝা যায়। মাইগ্রেনের আক্রান্ত ব্যক্তির উপর আলোকপাত বা সম্ভবত শব্দ প্রভাব প্রভাবিত করে তাদের মাইগ্রেন বাড়ায় বা উন্নত করতে পারে।




মাইগ্রেনের কারণগুলো অন্যান্য রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা বা রোগী আরো উপরের বা উপরের কারণ জ্ঞাত নয় তবে এর মধ্যে থাকতে পারে মস্তিষ্কের যন্ত্রনা, সংক্রান্ত সমস্যা, হরমোনাল পরিবর্তন, খাবার সামগ্রীর ক্ষতি, নিঃশ্বাস বা মানসিক সমস্যা বা দুশ্চিন্তা গ্রস্থ ইত্যাদি।




মাইগ্রেনের সম্ভাব্য চিকিৎসা হলো প্রশান্ত ও সারারাত অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘুমাতে হবে । মাইগ্রেন হলে যথাযথ আহার গ্রহন করতে হবে এবং প্রয়োজনে ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া যায়। এছাড়াও আপনার চিকিৎসাধীন ডাক্তার তথা নিউরোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ রাখলে ভালো হবে যাতে তিনি আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসাপ্রণালি নির্দেশনা করতে পারেন। তবে প্রথমে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। তিনিই আপনাকে সমাধান দিতে পারেন । 




* অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।


* কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।


* উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।


* বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।


* মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে), বিশ্রাম করা, ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।






যেসব খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে


* ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। যেমন ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক।


বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে। সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়।


ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।


আদার টুকরো বা রস দিনে দুবার জিঞ্চার পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।




কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন


চা, কফি ও কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দই, দুধ, মাখন, টমেটো ও টক জাতীয় ফল খাবেন না


 গম জাতীয় খাবার, যেমন রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি


 আপেল, কলা ও চিনাবাদাম ,পেঁয়াজ । 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম