চিনি মিষ্টি জাতীয় একটি পণ্য, গুঁড়ো ঠিক তাই । মিষ্টি বলে কে না পছন্দ করে চিনি বা গুড়কে ? আপনি কি পছন্দ করেন ? এটা ছাড়াও আমার কথা হল চিনি বা মিষ্টি উভয়টা কি খান ? এটা খাদ্য ও পানীয় উপকারিতা দিতে পারে, তবে এটা মানুষের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে যদি এর মাত্রা অত্যন্ত বেশি হয়।
তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার বলে চিনি যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা তো সবাই জানেন, তাই না ? আর এর জন্য নানা ধরনের অসুখের জন্ম দেয়। কিন্তু কিভাবে হল তা ভেবে কুল কিনারা পান না যে কেন এমন হল ?
অতিরিক্ত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে । এই যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি। চিনি কয়েক ধাপে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। আর এই কারণেই এর অধিকাংশ পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় ।
এবার আসি গুড়ের কথায় । এদিকে গুড় তৈরি হয় আখের রস দিয়ে । এতে যে উপাদান রয়েছে তা হল ভিটামিন ও খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস।তবে পরিশোধিত চিনির চেয়ে গুড় অনেক বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, যেখানে চিনিতে কেবল ক্যালোরিই থাকে। তবে গুড়ও চিনির মতোই।
গুড়ের এমন কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার রয়েছে যা চিনিতে দেখা যায় না -
পুষ্টির ঘাটতি মেটায় গুড় । শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, তামা, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ, সি, বি, ই জাতীয় পুষ্টি এবং খনিজ রয়েছে, যা আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরও কত কি !
আপনি যদি বিষন্নতায় ভোগেন তবে তা দূর করার জন্য গুড় খান নিয়মিত। কারণ তা দূর করার একটি সহজ উপায় হলো পরপর কয়েক দিন কয়েকটি নিমপাতা দিয়ে গুড় খাওয়া। এটি বিষন্নতা কাটাতে সহায়তা করে।
গুড়ে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকায় তা আমাদের নার্ভ শিথিল করতে সাহায্য করে রক্ত চলাচল উন্নত করে। এটি ক্লান্তি এবং মাথা ব্যথা দূর করতে পারে সহজেই।
ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে আপনি যদি চিনির বদলে গুড় খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে উপকার মিলবে।
গুড়ে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনগুলো অপসারণ করে এবং পাচনতন্ত্রকে সহজে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এটি গ্যাস্ট্রিক রস নিঃসরণে সহায়তা করে, যা হজমশক্তি উন্নত করে।