'খৈল' - শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। তাহলে কোন খৈল ? তবে আর বলছি কি কানের খৈল । মাঝে মধ্যে এই খৈল বিরক্তর কারণ হয়ে দাঁড়ায় । বন্ধু - বান্ধবীদের সামনে কিছু করাও যায় না । তাহলে আজকে জেনে নিন কি করবেন ।
কানের ময়লা বা মোম আসলে কী?
কানের খোল বা ময়লাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় সেরুমেন। মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর কর্ণকুহর থেকে নিঃসৃত একপ্রকার হলুদাভ নিঃসরণ এটি। কর্ণকুহরের বাইরের দিকের এক তৃতীয়াংশের দেওয়ালের পরিবর্তিত এপোক্রিন ঘর্মগ্রন্থি ও সেবাম গ্রন্থির মিশ্রিত ক্ষরণই হল সেরুমেন। এটিকে "কানের ময়লা" বলা হলেও এর প্রয়োজনীয় ভূমিকা আছে। এটি কর্ণকুহরের ত্বকের সুস্বাস্হ্য বজায় রাখে এবং ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পোকামাকড় এবং জল থেকে কানকে রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ সেরুমেন কর্ণকুহর আটকে দিয়ে কানের পর্দার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং শ্রবণশক্তির হানি ঘটাতে পারে।
১) প্রথমে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে আলতো করে কানের উপর রাখুন। তাপ কানের ভিতরে জমাট বেঁধে থাকা ময়লা নরম করতে সাহায্য করবে। ফলে তা নিজে থেকেই বেরিয়ে আসবে।
২) কানের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে দারুণ কাজ করে অলিভ অয়েল। কানের ভিতর তিন ফোঁটা অলিভ অয়েল ঢেলে দিয়ে কিছু ক্ষণ কাত হয়ে শুয়ে থাকুন। পর পর তিন দিন এটি করুন। কানের ভিতরে শক্ত হয়ে জমাট বেঁধে থাকা ময়লা দূর হবে সহজেই। আর অলিভ অয়েল থেকে কানে সংক্রমণ ছড়ানোরও কোনও আশঙ্কা নেই।
৩) ঘরোয়া উপায়ে কান পরিষ্কার করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল লবণ পানি। এতে খুব সহজেই কানের ময়লা পরিষ্কার হবে। হালকা গরম পানির সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে কানে দিন। এরপর মাথা কাত করে কয়েক মিনিট রাখুন। সহজেই ময়লা নরম হবে।
তবে আমি বলি কি কান পরিষ্কারে কটন বাড ,পাখির পালক ব্যবহারে কান বন্ধ, পর্দা ছিদ্র,কান ব্যথা, সংক্রমণ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ায় । তাই এসব ব্যবহার না করলেই ভালো হয় । এই খৈল স্বাভাবিক নিয়মেই কান থেকে বেরিয়ে আসে ।