আমরা প্রতিদিন তিন বেলা খাদ্য খাই । তিন বেলা না পারলেও অন্তত দুই বেলা তো খাই । আর তার মধ্যে সকালের খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে কাজটা করা তা হল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি । তারপর প্রায়ই অনেকক্ষণ পর সকাল ৯ বা ১০ টার দিকে সকালের খাওয়া খাই ।এই যে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে আমরা সকালের খাবার খাই । তবে এটা ঠিক না ।
সকালে উঠে অনেকের খিদে পায় না । আবার অনেকের পায় । তবে খিদে পেলে সময় নষ্ট না করে খাওয়া উচিত। আজকে এই ভিন্ন ধর্মী টপিকে আপনারা জানতে চলেছেন যে সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে কিছু খাওয়া কি উচিত ? আমরা হয়তোবা বিষয়গুলো মাথায় নেই না বা জানি না । তবে আপনি হয়তো বা জানতেও পারেন ।
সকালে খাওয়া উচিত, সেইসাথে শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকা ভালো। প্রায়শই নাস্তা করার জন্য প্রস্তুত থাকলে ভালো। আপনি পর্যাপ্ত পুষ্টির উপাদানসমূহ অবশ্যই গ্রহণ করতে পারেন।
খিদে পায় না বলে কিছু খাবেন না ততো হয় না । খিদে পেয়েছে আর আপনি অভ্যাস অনুযায়ী সেই সময় ঠিক করা আছে তখন খাবেন । আর এতক্ষন খিদের যন্রণায় নিজেকে কষ্ট দিচ্ছেন । কোন ডাক্তারই বলবে না যে পেট ভরে খান ।তবে সেই অভ্যাস পরিত্যাগ করে ঠিক করে নিজের খাবার খাওয়াতে শৃঙ্খলা আনুন । কেননা শৃঙ্খল হয়ে খাবার খেলে সেই খাবার আপনার জন্য শক্তি হয়ে দাঁড়াবে । আর তার বিপরীত করলে সেই খাবারই আপনার ক্ষতির কারণ হবে।
আর ঘুম থেকে উঠার পর খালি পেটে না থেকে তার ১ ঘন্টার মধ্যে হালকা কিছু খেয়ে নিবেন। আর সেটা হতে পারে রুটি , আপেল ,কিংবা এক গ্লাস দুধ। এরপর সকালের খাবার খেতে হবে। সে যাই আপনি নিজের প্রতি খেয়াল রাখুন।
প্রতিদিন সকালে একটি ডিম খেতে পারেন। ডিম হচ্ছে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ডিম শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে শরীরে শক্তি জোগায়।
খেতে পারেন ওটমিল। এই খাবার সারাদিনের এনার্জিই দেবে। ওটে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। ওট খেতে পারেন দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে।
সকালের নাস্তা ফলমূলও খেতে পারেন। কলা, আপেল, কমলা, আঙুর খেতে পারেন। নাস্তায় রাখতে পারেন খিচুড়ি। তবে অবশ্যই সবজি খিচুড়ি খেলে ভালো। তবে পানি পান করলে তো আরও ভলো ।
ফল এবং সবজি: কমলা, পেঁপে, কলা, শকুনগাছি, গাজর, পটল, বাঁধাকপি ইত্যাদি।
পুষ্টিকর গ্রেইন: চাল, পোলাও, ধান, গহুঁ, ভুট্টা, ওয়াইট ব্রেড ইত্যাদি।
দুধ এবং দুধ প্রকারের উপাদান: দুধ, দই, পনির, গোস্ত, চিজ, ইত্যাদি।
নারিকেল ও পানির উপকারিতা: নারিকেলের পানি, নারিকেল দুধ ইত্যাদি।
গরম পানিতে প্রস্তুত কিছু নাস্তা: চা, কফি, স্ন্যাক, বিস্কুট, চকলেট ইত্যাদি।
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রতিদিন পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং বিভিন্ন খাবারের সমন্বয় করতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।