বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ । এদেশের হাওড় - বাওড় , নদী - নালা , পুকুর এমনকি খালে মাছের আনাগোনা দেখা যায়। এছাড়াও এমন লোক আছেন যারা মাছ চাষ করে থাকেন । তাই সেটা যেকোন ধরনের হতে পারে । এতো গেল মাছের আনাগোনা।
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের মাছ ছাড়া চলেনা । হয়তোবা মাঝেমধ্যেই কিছু দিন খাওয়া বন্ধ রাখা যায় । তাই বলে প্রতিদিন তো আর নয় । কই,শোল,মাগুর ,শিং,কাতলা ,রুই ,তেলাপিয়া আরও অনেক রকমের মাছ আমরা খেয়ে থাকি । আজকের পোষ্টটি একটু অন্য ধরনের। তেলাপিয়া মাছকে নিয়ে । আদোতে কি তেলাপিয়া মাছ ক্ষতিকর ? এতদিন যাবৎ খেয়ে আসতেছি আজকে হঠাৎ এরকম প্রশ্ন ? মনে কি প্রশ্ন জাগে না ? তাহলে চলুন জেনে নিই।
প্রথমেই জানব তেলাপিয়া মাছে কি কি উপাদান থাকে ।
উপাদান হিসেবে থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২,প্রোটিন, ফসফরাস।
গবেষণার দিক থেকে যা দেখা যায় : যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন এর তথ্য মতে , তেলাপিয়া মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পরিমাণে কম থাকে । কিন্তু ক্ষতিকর ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এই এসিড দেহের ক্ষতিকর কোষগুলো ঠিকঠাক করলেও অ্যালঝেইমার এবং মস্তিষ্কে প্রদাহের জন্য দায়ী।
তবে এর জন্য তো আর পুরোপুরি বাদ দিতে নিষেধ করছেন না পুষ্টিবিদগণ ।
এবার দেখব চাষের ভিত্তিতে কেমন ?
মাছ চাষ ঠিকমত করতে পারলে সেটা স্বাস্থ্যকর বলা যেতে পারে ।আসলে কয়জন মাছ চাষী ঠিকমত চাষ করেন । মাছ কি খায় ?
মাছ সচরাচর পানিতে মিশে থাকা দ্রব্যাদিসমূহ খায় । তার মধ্যে শেওলা অন্যতম ।
এছাড়াও চাষীরা মাছের খাবার হিসের হাঁস , মুরগীর দেহাবশেষ দিয়ে থাকে । তাছাড়া ডিবিউটিলিন ও ডাইঅক্সিন নামক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় । ডিবিউটিলিন হল প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ। তা দেহের জন্য ক্ষতিকর ।এটা স্থুলতা, হাঁপানি, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ। আর ডাইঅক্সিন শরীরে ক্যান্সারের জন্য দায়ী ।
তবে চাষীরা যদি মাছের খাদ্যে পরিবর্তন আনতে পারে অর্থাৎ বিষাক্ত কোন কিছু না দিয়ে তাহলে সে মাছে তেমন ক্ষতিকর কিছু থাকেনা ।