অনিদ্রার সমস্যা এড়াতে যা করবেন ।

 ঘুম মানুষের একটা অপরিহার্য অংশ। এটা এমন এক শারীরিক ক্রিয়া যা দ্বারা মানুষের প্রশান্তি অনুভব হয় । ঘুম সুস্থ থাকার একমাত্র মাধ্যম । একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনন্দিন ৭-৮ ঘন্টার ঘুমের প্রয়োজন। এর কম হলে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে । কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত ঘুমও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। 


                           

Sleeplessness




আজকে আলোচনা করব যাদের ঘুম হয় না বা ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া । এর ফলে ঝিমুনি ভাব ,মেজাজ খিটখিটে হওয়া ,দিনের বেলায় ঘুমানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় । মন বিষণ্ন থাকার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। 




এই অনিদ্রা শরীরের যা ক্ষতি করে :-




ঘুমের মাধ্যমে একজন মানুষের টক্সিন নামক পদার্থ বের করে দিয়ে কর্মক্ষম করে তোলে । আর যদি ঘুমই না আসে তাহলে শরীর কর্মক্ষম হবে‌ কিভাবে ? ঘুমের ঘাটতি হলে আপনার শরীরে যা ঘটবে তারমধ্যে অন্যতম ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ এমনকি ডায়বেটিসও হানা দিতে পারে । শুধু তাই নয় স্মৃথিভ্রংশতাও ঘটতে পারে । 






একটা গবেষণায় দেখা গেছে মদ্যপান করলে শরীরের উপর যে ‌প্রভাব পড়ে ঠিক ১৮-১৯ ঘন্টা অনিদ্রায় থাকলে তেমন প্রভাব পড়বে। এখান থেকে তো বুঝলেন ঘুমের কতটা দরকার । আবার‌‌ আপনি‌ যদি টানা‌১১ দিন‌ অনিদ্রায় থাকেন‌ তাহলে স্বাভাবিক আচরণে মারাত্মক প্রভাব ‌পড়বে । শুধু তাই নয় স্মৃথিভ্রংশতা থেকে শুরু করে হেলুসিনেশনও হতে‌ পারে । 






অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে পারেন কিভাবে :- 


ঘুম না আসার কারণে অনেকে এমন‌ আছেন যারা ঘুমের টেবলেট খেয়ে থাকেন ।তবে এটা করতে না করব । আপনি যা করবেন তা হল : 






১. সময়মত ঘুম : অনিদ্রা থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে অবশ্যই সময়মত ঘুমাতে হবে । আজকে যে সময় ঘুমালেন প্রতিদিন ঠিক ঐ সময়ই ঘুমাতে যেতে হবে । 






২. রাত না জাগা : আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা রাত জেগে ফেসবুক, ইউটিউবে, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠেন । আবার রাত জেগে ও টিভি দেখেন । এসব করা যাবে না ।‌






৩. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন ।‌




৪. চা কফি পরিহার : অনিদ্রা থেকে বাঁচতে চাই কফি পান করা বাদ দিতে হবে ।কারণ এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় । খাওয়া নিষেধ নয় । 




৫. মধু সেবন ,দুধ পান করা । কারণ এগুলোর গুনাগুণ সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। নতুন করে কিছু বললাম না ।‌



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম