ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় ।

ঘামাচি কি : চলছে গরমের মৌসুম । যদিও তা প্রায় শেষ দিকে । অনেকের কাছে গরম আসাতে এই সময়টাকে বিরক্তিকর মনে করেন । তার কারণ একটা ঘামাচি । কিন্তু কেন ? এই ঘামাচির কারণে অনেকেরই নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়ায় । এজন্য একে হিট র্যাশ বলা হয় । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে মিলিয়ারিয়া নামকরণ করা হয়। আমরা বলতে পারি ঘামাচি হচ্ছে আমাদের ঘর্মগ্রন্থি থেকে যে ঘাম বের হয় তার সাথে গরমের যে সম্পর্ক তাই ঘামচি । আর তাই আপনাদের খোঁজ করা উচিত,'ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়' ।


         

Heat rash

            




ঘামাচির আকার যাই হউক না কেন এত চুলকানি সহ্য করার মত না । বিশেষ করে পিঠে দেখা যায় এই ঘামাচির । সেই সাথে ঘাড়,গলা হাতে দেখা যায় । এজন্য অনেককেই হীনমন্যতায় ভুগতে দেখা যায় । কি করবেন ভেবে পান না । তাই আজকের লেখাটি তাদের জন্য । তাহলে চলুন জেনে নিই এই গরমে ঘামাচির চুলকানি বা 'ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়'। 




প্রথমেই জেনে নেই ঘামাচি কেন হয় ? 




আগেই বলেছি আমাদের দেহে একধরনের গ্রন্থি আছে । যেটাকে ঘর্মগ্রন্থি বলা হয় । এই ঘর্মগ্রন্থি আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের করতে সহায়তা করে। দেহের অতিরিক্ত পানি ,লবণ, ইত্যাদি নিষ্কাশন করে ‌। আর এই গ্রন্থির সাথে স্টেফ এপিডারমাইডিস নামক জীবাণু মিশে থাকে । শরীরে কোন কারণে যদি ওই ঘাম বের হতে না পারে তখন ধুলোবালি বেশি পরিমাণে জমে ঘামাচির উৎপত্তি করে । 






প্রকারভেদ: ঘামাচি কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় । 




       ১. মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনা ( Miliaria Cristalina‌ )




এই ঘাম অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ের । লক্ষণ বলতে তেমন কিছু নেই । 






      ২. মিলিয়ারিয়া প্রফান্ডা ( Miliaria Profunda )




প্রথমটির মতই এটাও স্বাভাবিক পর্যায়ের। এটারও লক্ষণ নেই বললেই চলে। 






       ৩.মিলিয়ারিয়া রুব্রা ( Miliaria Rubra )






আমারা যে ঘামাচির অসহ্য যন্ত্রণা বা চুলকানি ভোগ‌ করি যেটির কারণে এটিই হচ্ছে সেটি । ত্বকে যদি লাল ফুসকরি দেখা যায় তাহলে বুঝবেন এটি মিলিয়ারিয়া রুব্রা । আর এটার কারনেই আমাদের শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয় । 




করণীয় : ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে যা করতে পারেন ।‌অর্থাৎ ,ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় ।




১. প্রথমেই বলব ঘাম বের হলে মুছে নিন । ঠান্ডা জায়গায় বসুন । এতে করে আপনার ভালো লাগবে ।‌




২. ঘামাচি প্রতিরোধে বরফ জাদুর মত কাজ করে । তাই বরফের সেঁক দিতে পারেন । 




৩. ঘামাচি প্রতিরোধে নিমপাতার তুলনা হয়‌না । এটা সর্বোৎকৃষ্ট একটি ঔষধ কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল (Anti-bacterial) উপাদান আছে। একে দুইভাবে ব্যবহার করতে পারেন । প্রথমত পেষ্ট বানিয়ে শরীরে লাগান , দ্বিতীয়ত নিমপাতা সিদ্ধ করে ঘামাচির জায়গায় লাগান । 




৪. লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এতে ঘামাচি নিরাময়ে কার্যকরি ভুমিকা পালন করে ।




৫. শসার কথা শুনে আবার চোখে যেন কপালে না উঠে । কারণ ঘামাচির চুলকানি দূর করতে শসা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 




৬. আলু : আলু সিদ্ধ করে খান । উপকার পাবেন।‌


 


৭. গোসলের সময় ডেটল মিশিয়ে গোসল করুন 




৮.ত্বকের সুরক্ষায় লোশন ব্যবহার করতে পারেন। 




৯. সবশেষে বলব বাজারে ঘামাচি নিরাময়ে পাউডার পাওয়া যায়। তিব্বত নামের পাউডার। এটা বেশ উপযোগী। শিশুদের ঘামাচি প্রতিরোধে এটি ব্যবহার করতে দেখা যায় ।‌



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম