গ্যাংগ্রিন বা পচা ঘা থেকে মুক্তি পেতে চান ?

 

  গ্যাংগ্রিন কি ?


                  




মানবদেহে লক্ষ লক্ষ কোষ দিয়ে গঠিত । আবার শরীরে কোষ থাকার পাশাপাশি রয়েছে রক্তও যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। রক্ত বা‌ কোষ ছাড়া মানবদেহ গঠিত হয় না । অর্থাৎ অস্তিত্বে আসে না । আর এই কোষে যখন রক্ত‌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে কোষ নষ্ট হওয়াকে গ্যাংগ্রিন বলা হয় ।‌ এক্ষেত্রে কোষ নষ্ট বা মারা‌ যেতে পারে । 


Gangrene





এখন কথা হচ্ছে কেন বা‌ কিভাবে হয় ? 




মূলত কিছু কারণ হচ্ছে আঘাত পাওয়া বা কেটে যাওয়া ।‌ সাধারণত আঘাত পেলে বা কেটে গেলে তা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু যখন জীবাণুর সংক্রমিত হওয়া থেকে শুরু করে পুঁজ জমা,পেকে যাওয়া পরবর্তীতে ঘা হওয়া ।‌






আবার যখন গ্যাংগ্রিন দেখা যায় তখন দেহের চামড়া নষ্ট হয়ে যায় । এসব অবহেলা না করে অতিসত্বর ডাক্তার দেখাতে হবে ।‌ আবার দেখেন গ্যাংগ্রিন হলে যে চামড়া নষ্ট হয় তা ফেলে না দিলে শরীরের উপর প্রভাব পড়বে। আর যদি দীর্ঘমেয়াদি অবস্থা বিরাজ করে তাহলে প্রাণের ঝুঁকি থাকে । 








কোন কোন গ্যাংগ্রিন দেখা দিতে পারে তা হল :- 




১. শুকনো গ্যাংগ্রিন: এই ধরনের গ্যাংগ্রিন হলে দেহের নির্দিষ্ট স্থানে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । আক্রান্ত স্থান কালো, সবুজ কিংবা বেগুনী রং ধারণ করতে পারে । 






২.ভেজা গ্যাংগ্রিন: এই ধরনের গ্যাংগ্রিন হলে আক্রান্ত স্থান ভেজা থাকে । ফোস্কা পড়া থেকে শুরু করে জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।‌






৩. গ্যাস গ্যাংগ্রিন:এই ধরনের গ্যাংগ্রিন সাধারণত ইনফেকশন হলে দেখা দেয় । সাধারণত অপারেশন এরপর দেখা যায় ।‌ আক্রান্ত স্থান লালচে বাদামি রঙ‌ ধারণ করে । 






৪. ইন্টারনার গ্যাংগ্রিন : এ ধরনের গ্যাংগ্রিন দেহের যেকোন স্থানে হবে যদি রক্ত চলাচল না করে । এতে করে এপেনডিক্স,পিত্তথলি আক্রান্ত হয় । 






করণীয় কি : প্রথমত আমি বলব ডাক্তার দেখান ।‌ গ্যাংগ্রিন এর ইতিহাস বলুন। সেই সাথে পারিবারিক ইতিহাস বলুন।‌ সেই অনুযায়ী চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন । আর নিজ থেকে কিছু করতে যাবেন না। নইলে হীতে বিপরীত হতে পারে ।‌ 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম