ফোড়া কি ?
ফোড়া হলো একটি ব্যক্তির শরীরে উঠা একটি বিশেষ রক্তের একটি অবস্থা যেখানে শরীরের টিস্যুর মধ্যে পুঁজ জমা হয় । যেমনঃ যখন একটি ক্ষত বা কাটা পুরোনো হয় বা ব্যক্তির শরীরে কোন কারণে রক্তের প্রবাহ থামে তখন অবস্থাটি ফোড়া হিসেবে পরিচিত। ফোড়া হতে পারে যে কোন অংশে যেমন ত্বক, মাংসপেশী, নখ, কান ইত্যাদি। এটি আক্রান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সুজুক এবং রঙ পরিবর্তন উৎপন্ন করতে পারে।ফোড়ার যেখানে হয় সেখানে লালচে ও উষ্ণ হয়ে যায়, ব্যথা হয়, ফুলে যায়। ফোলার উপরে চাপ দিলে মনে হয় ভিতরে তরল জমে আছে।
ফোঁড়ার লক্ষণগুলো কি কি ?
ফোড়ার লক্ষণগুলো আপনার ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থার উপর নির্ভর করবে। তবে কিছু সাধারণ ফোড়ার লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:
প্রবল ব্যথা এবং সম্ভাবনাময় শোষকতা।
সুজুক এবং স্ফীততা।
রঙের পরিবর্তন। ফোড়া সাধারণত লাল বা গোলাপি রঙের হয়।
জ্বলজ্বল অতিরিক্ত তাপমাত্রা।
অনুকুল বা নকচে শ্বাস।
পুরুষের ক্ষেত্রে মূখের চারপাশে পিপেড় স্তন গঠন হতে পারে।
সাধারণত সাম্প্রতিক আঘাতের ফলে ফোড়া ত্বকে সংক্রমণের নকশা হতে পারে।
ফোড়ার লক্ষণগুলো সবসময় একই নয় এবং এটির মাধ্যমে সংক্রমণের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় না।
ফোঁড়ার কারণ গুলো কি কি ?
ফোড়ার কারণগুলো বিভিন্ন হতে পারে এবং এটি উপস্থিতির পিছনে বিভিন্ন অকারণ অবস্থার ফলে ঘটতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু প্রধান ফোড়ার কারণগুলো রয়েছে:
পুরুষদের জন্য:
কাটানি বা আঘাত: ত্বকে কোন তরল বা কাঠামো ধারণ করা যেতে পারে যা ফোড়ার কারণ হতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্থ বা পানিতে নামানো: নৌকা বা পুকুরে চালানো থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
মহিলাদের জন্য:
পুরুষদের পিপেড় স্তন বা লম্বিকতা: পুরুষদের স্তন এলাকায় ফোড়ার বিকাশের সম্ভাবনা থাকে।
পিউড়িং অথবা ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থা: এই অবস্থার ফলে ফোড়া উদ্ভব হতে পারে।
সামগ্রিক কারণ:
ত্বকের পরিষ্কারতা বিলম্ব: যদি ত্বক পরিষ্কারতা না করা হয় বা সাবান ব্যবহার না করা হয়, তবে ত্বকে হওয়া দেখা দেবে।
ব্যক্তিগত সাবান/শরীর পরিষ্কারতা না মেনে চলা: ত্বকের যথাযথ পরিষ্কারতা মেনে চলা না থাকলে ময়লা, জীবাণু এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক দ্রবণ বা পদার্থ ত্বকে ফোড়ার কারণ হতে পারে।
ধূলা বা দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে রহানো: ধূলা, পরিষ্কার না পানিতে ভাসা বস্ত্র বা ব্যক্তির চরম পরিবেশে থাকলে সেখানে থাকা ব্যক্তিগত জীবাণু ফোড়ার কারণ হতে পারে।
স্ক্রাচ করা বা খরচার দ্বারা ক্ষতি: যখন একটি প্রাণি তাড়াতাড়ি খুঁজে বা স্ক্রাচ করে ত্বকে ক্ষতিগ্রস্থ উৎপন্ন হয়, সেখানে ফোড়া উদ্ভব হতে পারে।
প্রাকৃতিক কারণ: ব্যক্তির সাথে প্রাকৃতিক প্রকৃতির মধ্যে ধরা পড়া হলে, যেমন মাছি কাটা, কোন জানবাহন দ্বারা আঘাত ইত্যাদি, ত্বক ক্ষতি হওয়ার মাধ্যমে দেখা যেতে পারে
ফোঁড়ার চিকিৎসা কি ?
চিকিৎসা হলো রোগীদের স্বাস্থ্য সংশ্লেষণের প্রক্রিয়া যা উপস্থিত অসুখ বা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা একটি বিজ্ঞান এবং কার্যপ্রণালী, যার মাধ্যমে চিকিৎসাবিদরা রোগের উপসর্গ, কারণ এবং চিকিৎসার পরিকল্পনা করেন। চিকিৎসা মূলত রোগীর পরিচিতি, রোগের নির্ণয়, পরিচ্ছন্নতা, প্রেসক্রিপশন এবং পরামর্শের মাধ্যমে কার্যকর পরিচর্যা ও প্রতিসাধন সরবরাহ করে।
চিকিৎসা অনেক বিভিন্ন পদ্ধতিতে সম্পাদিত হতে পারে, যেমন ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা, কার্যকর প্রয়োগ, পরামর্শ, প্রাকৃতিক পদ্ধতিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে। চিকিৎসা বিষয়টি বিভিন্ন মেডিকেল বিষয়গুলোর সাথে সংযোগ থাকে ।
কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়
চিকিৎসা সম্পর্কিত কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
যা করা উচিত:
একটি নির্দিষ্ট রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা।
নির্দিষ্ট চিকিৎসামূলক পদ্ধতিতে রোগের নির্ণয় এবং চিকিৎসার পরিকল্পনা করা।
নির্দিষ্ট ওষুধ বা প্রয়োগের সাথে সঠিক ডোজ এবং সঠিক সময়ে আচরণ করা।
চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি নিয়মিত অনুসরণ করা এবং ডাক্তারের নির্দেশ মেনে চলা।
পরিবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশাবলী মেনে চলা, যেমন মাস্ক পরিধান এবং সামগ্রিক পরিষ্কারতা মেনে চলা।
যা করা উচিত নয়:
বেদনাদায়ক ওষুধের অন্যতম ব্যবহার করা, যেমন বিভিন্ন নিঃস্বার্থক অনুষ্ঠানের সময় মাদকদ্রব্য সেবন করা।
স্বয়ংসেবক চিকিৎসার চেষ্টা করা ।