আগুনে পোড়া একটি খেলার নাম নয়। এটি একটি অসুস্থতার সংক্রান্ত কথাবলি হতে পারে যা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার সাথে সংক্রান্ত হতে পারে। তবে, আমি আপনার কথাবলির পেছনের সম্ভাব্য অর্থ বোঝার চেষ্টা করব।
অধিকাংশ আগুনে পোড়ার ঘটনা রান্নাঘরেই ঘটতে দেখা যায়। এ জন্য সতর্কতার দরকার আছে। রান্নার সময় একটু অসতর্ক হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আগুনে কেন পোড়ে ?
কারণ : কারণ অনেক কিছুই হতে পারে । এট আমরা সকলেই জানি। তবে ভয়ের ব্যাপার হল সীমার চেয়ে বেশি মাত্রায় পোড়া । এতে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল নিতে হবে ।
আগুনে পোড়লে কী করণীয় ?
যদি আগুনে পোড়া হয়ে যায় বা আপনি আগুনে পোড়লেন, তাহলে আপনি নিম্নলিখিত কিছু করণীয় বিবেচনা করতে পারেন:
১.নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন: প্রথমে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। আপনি বিপদগ্রস্ত এলাকায় থেকে নিজের পাশের অনিরাপদ স্থান ছেড়ে যান। নিকটবর্তী উন্নত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন যেমন ফায়ার এক্সটিংয়ুশার।
২. জ্বলন্ত জায়গা থেকে দূরে চলে যান: আপনি আগুনের নিকটবর্তী জায়গা থেকে তাড়াতাড়ি দূরে চলে যান। আপনি যদি একটি নিষিদ্ধ অঞ্চলে থাকেন তবে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি অবরোধে যান এবং একটি নিরাপদ থাকুন।
৩. হাসপাতালে যান : দেরী না করে অতিসত্বর বাড়ি ত্যাগ করুন , হাসপাতাল যান । ডক্তারের পরামর্শ নিন।
কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ?
আগুনে পোড়লে খেয়াল রাখতে হবে এই কিছু বিষয়ঃ
নিরাপত্তা: আগুন একটি জ্বলন্ত উপাদান এবং এ জন্যই নিরাপত্তা প্রথম প্রয়োজনীয়। নিরাপত্তা বিষয়গুলোঃ
১. আগুন লাগার পরিবেশে আপনি থাকবেন না।
২.টুথপেস্ট, লবণ, ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করবে না । অর্থাৎ পোড়া রোগীকে তার ঐ ক্ষত স্থানের উপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দিবেন না
৩. যদি কারো মুখ কিংবা চোখ পুড়ে যায় তাহলে রোগীকে যতক্ষণ সম্ভব হবে ততক্ষণ সোজা করে বসিয়ে রাখতে হবে । এতে ফোস্কা পড়া বা ফুলে যাওয়া কমে যায়।
৪.বেশি করে তরল খাওয়াতে হবে
পুড়ে যাওয়া রোগীকে স্যালাইন দেয়া যদি কোন ভাবে সম্ভব না হয় তবে মুখে অন্তত স্যালাইন, ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ান । এছাড়া ক্যালরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে ডিম বা মুরগি খাওয়াতে হবে ।