টিউমার শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি অনেকেই পরিচিত । নাম শুনলেই অনেকে আতকে উঠত । কিন্তু এখন কি হয় ? তবে টিউমার অনেক রকমের হতে পারে । তার মধ্যে একটি হল স্তন টিউমার । এখন প্রশ্ন হচ্ছে , স্তন টিউমার কি ?
স্তন টিউমার কি ?
স্তন টিউমার হলো স্তনের অভ্যন্তরে গঠিত একটি গোড়া বা বিকীর্ণ গঠন । মানবদেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কোষেরও একটা স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু কিছু সময় স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন একপর্যায়ে মাংসের পিণ্ড বা চাকায় পরিণত হয়। এই চাকা বা পিণ্ডই স্তন টিউমার।
পরবর্তীতে বলা যায় যে ,
১. স্তনে টিউমারের মতো শক্ত কিছু অনুভব করা।
২.অল্প অল্প ব্যাথা।
৩.কখনও স্তন থেকে পূঁজের মতো জিনিস বের হতে থাকা।
স্তন টিউমার এর লক্ষণ গুলো কি কি ?
লক্ষণ : স্তন টিউমারের লক্ষণগুলো বিভিন্ন হতে পারে এবং সাধারণত ক্যান্সারগত টিউমারের লক্ষণগুলো একটু ভিন্ন হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণগুলো হতে পারে:
স্তনের গঠনে পরিবর্তন: স্তনে গোড়ায় গঠনের পরিবর্তন দেখা যায় । এতে আকার বৃদ্ধি পেতে পারে ।
স্তনে ব্যথা: টিউমার স্তনে ব্যথা এবং তাপজ্বরের কারণ হতে পারে।
স্তনের বৃদ্ধি: স্তনে অনাপেক্ষিত বৃদ্ধি অথবা স্তনের আকারের পরিবর্তন হতে পারে।
তরলতা বা স্তনের স্রাব: টিউমারের কারণে স্তন থেকে তরল বের হতে পারে।
স্তনের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ায় চুলকানি দেখা দেয় বা স্তনের নির্দিষ্ট স্থানের চামড়ার রং বদল হয় ।
স্তন টিউমার এর কারণ কী ?
স্তন টিউমারের উৎপাদনের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কিছু প্রধান কারণ নিম্নরুপে বর্ণনা করা যাবে:
১.আক্রমণের বিশেষ ঝুঁকি: ক্যান্সার সংক্রান্ত নিরাপত্তা বা আক্রমণের ঝুঁকি উচ্চ হলে স্তন টিউমার উৎপন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার পরিবারে ক্যান্সার রোগী থাকলে আপনার ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
২.জেনেটিক অংশ: কিছু মর্মান্তিক সন্তান বান্ধব স্তন ক্যান্সার উৎপন্ন হতে পারে কারণ এরকম রোগটির জন্য জেনেটিক প্রবণতা থাকতে পারে।
৩.হরমোনাল পরিবর্তন: স্তন টিউমারের উৎপাদনে হরমোনাল পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। কিছু স্ত্রীদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিক চক্র, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক ঔষধ ব্যবহার, প্রাকৃতিক হরমোনাল পরিবর্তন ।
স্তন টিউমার এর ক্ষেত্রে চিকিৎসা কী ?
চিকিৎসা :
স্তন টিউমারের চিকিৎসা বিভিন্ন উপায়ে করা হয়, যা রোগের ধরণ, স্থিতি এবং অন্যান্য পরামর্শ বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়। কিছু চিকিৎসামূলক পদক্ষেপগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. ক্যান্সারের পরীক্ষা: প্রথমবারে স্তন টিউমার সনাক্ত করা হলে আপনার ডাক্তার একটি চীমটি পরীক্ষা (biopsy) সম্পন্ন করতে পারেন। চীমটি পরীক্ষা সাধারণত টিউমারের সাথে স্তনের টিস্যু নমুনা নেওয়ার মাধ্যমে টিউমারের প্রকৃতি এবং ক্যান্সার প্রকার নির্ধারণ করে।
২.ইমেজিং টেস্ট: ইমেজিং টেস্ট সাধারণত স্তন টিউমারের অবস্থান এবং আকারের বিবেচনা করে। এর মধ্যে থাকতে পারে ম্যামোগ্রাম, উল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই (MRI) স্ক্যান ইত্যাদি।
৩.ক্যান্সার চিকিৎসা: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসামূলক পদক্ষেপ আপনার বিশেষ পরিস্থিতি কাজে দিবে ।
অপারেশন এর প্রয়োজন আছে কি ?
স্তন টিউমারের ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজনীতা নির্ধারণ করতে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা এবং পরামর্শ করবেন। অপারেশনের প্রয়োজনীতা নিম্নলিখিত কিছু পরিস্থিতিতে মতামত প্রদান করতে পারে:
টিউমারের বৃদ্ধি এবং উৎপাদন: টিউমার বেশি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘদিন ধরে বিস্তার করলে অপারেশনের প্রয়োজনীতা হতে পারে। ডাক্তার টিউমারের আকার, স্থান এবং আক্রমণের ধরণ বিবেচনা করে অপারেশনের নির্দেশ দেবেন।
টিউমারের স্থান এবং অবস্থান: টিউমারের অবস্থান এবং স্থান অপারেশনের প্রয়োজনীতা নির্ধারণ করতে পারে। যদি টিউমার কোন নির্দিষ্ট অবস্থানে অবস্থিত থাকে যা চিকিৎসায় অপারেশন না করলে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাহলে অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ: যদি ডাক্তার টিউমার এর সম্পর্কে যে পরামর্শ দেবেন সেটা মেনে নিতে হবে ।
স্তন টিউমার হলে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন ?
স্তন টিউমারের সম্পর্কে সতর্কতা প্রদান করার কিছু বিষয় নিম্নলিখিতঃ
নিয়মিত স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা: নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে। ম্যামোগ্রাম এবং অন্যান্য পরীক্ষাগুলি নিয়মিতভাবে করে স্তন টিউমার সনাক্ত করতে পারেন।
আক্রমণের ঝুঁকি পরিচালনা: আপনি আক্রমণ ঝুঁকিগুলি পরিচালনা করতে হবে। পরিবারে স্তন ক্যান্সারের রোগী থাকলে অপরিচিত ক্যান্সারের সম্ভাবনা থেকে সাবধান থাকুন এবং নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করার জন্য কর্মসূচি করুন।
নিজেকে পরীক্ষা করুন: আপনি নিজেকে পরীক্ষা করার জন্য স্তন টিউমারের সংক্রান্ত কোন বিশেষ লক্ষণ নোট করতে পারেন। যদি আপনি অস্বাস্থ্যকর বা অন্য কোন সমস্যার লক্ষণ দেখেন, তবে সাম্প্রতিকভাবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেয়া উচিত। তাই নিজে নিজে কিছু করতে যাবেন না । এক কথায় বলে মাতব্বরি।