ঘুম আল্লাহ তায়ালার অশেষ নিয়ামতের একটা । সারাদিনের ক্লান্তি, অবসাদ পরিশ্রম শেষে আমরা যখন বিছানায় আসি তখন আরামের ঘুম ঘুমাই । তাহলে আপনি কি জানেন আদর্শ ঘুম কোনটা ? হয়তোবা অনেকে জানেন বা অনেকে জানেন না । আজকের এই লেখাটি সবার জন্যই।
আরামের ঘুম যখন আসে তখন আর হুস থাকেনা । মানে এক কথায় বলা চলে গভীর ঘুম । ব্যক্তির ঘুমের প্রয়োজনীয় ঘন্টা স্থির নয় এবং ব্যক্তির প্রাথমিক প্রকৃতি, জীবনযাপনের সম্প্রেষণ, এবং সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবেকসম্মত উপায় ঘুমের পরিমাণ নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে ।
একজন মানুষের দৈনিক ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন তা ব্যক্তির বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থা, ও জীবনযাপনের প্রশ্নের উপর নির্ভর করে।মানুষের দৈনিক ঘুমানোর পরিমাণ সাধারণভাবে বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থা, এবং জীবনযাপনের প্রশ্নের উপর নির্ভর করে।
বয়স: বয়সের সাথে ঘুমানোর প্রয়োজনীয় ঘন্টা পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারে। বাচ্চাদের জন্য আবশ্যক ঘুমের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে, যেখানে পুরোবায়সী ব্যক্তির জন্য সাধারণভাবে কম হতে পারে।
স্বাস্থ্য অবস্থা: একজনের স্বাস্থ্য অবস্থা ঘুমানোর প্রয়োজনীয় ঘুমের সময়ে প্রভাব ফেলতে পারে। কোন অসুস্থ ব্যক্তি আরও ঘুম প্রয়োজন করতে পারে।
জীবনযাপন: আপনার দিনের কাজের প্রক্রিয়া, কাজের সময়, পরিশ্রম ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আপনার ঘুমের সময় কাল কত হতে পারে ।
অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় আর তা হল খুব কম বা খুব বেশি ঘুম কোনটাই স্বাভাবিক নয় । শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের টানা ৫ থাকে ৯ ঘন্টা ঘুম স্বাভাবিক । তবে ৬-৭ ঘন্টা টানা ঘুম হল আদর্শ ঘুম ।