কুকুরে কামড়ালে প্রথমেই যা করবেন ।

কুকুর মানুষের একটি বন্ধুসুলভ প্রাণী । যদি শিকারী হয় তাহলে সে আপনার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে ।‌ আপনার সুখে দুঃখে সে পাশে থাকবে । তার কষ্টে আপনিও হবেন ‌দুঃখিত । হ্যা ভাই এটাই স্বাভাবিক । আল্লাহ তায়ালার এরকম সৃষ্টির প্রতি সবাই কম বেশি দয়া দেখায় । 




   

Dog bite

                          




কিন্তু হ্যা যখন কোন কারণ বা অকারণে কোন কুকুর আপনাকে কামড়াতে ‌পারে । সেটা হতে পারে তেজি কুকুর। গ্রাম্য ভাষায় এরকম কুকুরকে বলা হয় "পাগলা কুকুর" । তবে যাই হউক কুকুর কামড়াতেই পারে । আপনার কুকুর বন্ধুসুলভ হলেও আপনি অন্যান্য কুকুর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।‌




করণীয় : কুকুরের কামড়ে যে সে কামড় বলে মনে করার দরকার নেই । কারণ এতে জলাতঙ্ক রোগের কারণ হতে পারে । আর এর লক্ষণ একবার প্রকাশ ‌পেলে তা প্রাণঘাতী হয়ে যায় । তবে সতর্ক থাকলে কিন্তু কুকুরের কামড় এড়ানো যায় । এবার আসুন জেনে নেই কি কি করা উচিত। 






প্রথমেই আক্রান্ত স্থানে ক্ষত ও রক্তপাতের তীব্রতা লক্ষ্য রাখুন । যাতে ক্ষতস্থান চেপে ধরলে, যেন তাড়াতাড়ি রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায় ।‌ এরপর প্রবহমান পানি ,হতে পারে টিউবওয়েলে বা কল এরকম ধারার নিচে ন্যূনতম দশ মিনিট ধরে ক্ষত পরিষ্কার করা যাতে করে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা যায় । কেননা ক্ষতটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে । এটি ক্ষতের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। যতটা সম্ভব আক্রান্ত স্থানকে উঁচু করে রাখার চেষ্টা করা । 




এখন ক্ষত পরিষ্কার হয়ে গেলে দেরি না করে ক্ষত পরবর্তী সংক্রমণের হার কমানোর জন্য নিকটস্থ চিকিৎসালয়ে পাঠাতে হবে । এতে ডাক্তার তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‌ব্যবস্থা নিবেন ।‌ ক্ষতস্থানে অ্যান্টিবায়োটিক অয়েনমেন্টের প্রলেপ প্রয়োগ করে একটি জীবাণুমুক্ত গজ কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করে থাকেন । আপনাকেও তাই করতে হবে ‌। প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হবে। ধুলো-বালি ও ময়লা যেন না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ক্ষতপ্রদাহ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত এ নিয়ম মেনে চলা উচিত। যদি ক্ষতস্থানে অনেক বেশি ব্যথা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন।






আর যদি জলাতঙ্কের লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে‌ যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টঙ্কারের টিকা গ্রহণ করবেন। জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টংকার নিয়ে লিখব আশা করছি । কুকুরের কামড়ের পর জলাতঙ্কের লক্ষণ প্রকাশ পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।








জলাতঙ্কের জন্য আপনি দুই ধরনের টিকা পাবেন । ক্ষতের তীব্রতা ও আধিক্যের ওপর ভিত্তি করে কারও ক্ষেত্রে একধরনের, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে উভয় ধরনের টিকা প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। এটি আপনার ক্ষত দেখে ঠিক করা হবে আপনাকে কিভাবে ,কয়টি দেয়া হবে । তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জলাতঙ্কের এ টিকা গ্রহণ করা । টিকার সব কটি ডোজ সময়মতো গ্রহণ করে কোর্স সম্পন্ন করতে হবে ।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম