সিজনাল জ্বর একটি সাধারণত সম্প্রচারিত জ্বরের একটি রকম যা বৃষ্টির সাথে জড়িত থাকে। এই জ্বরে অসুস্থতা হলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, কিন্তু জ্বরের কারণে শরীর আরও কোনো অসুখ থাকে না। এটি সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশনের ফলে হয় এবং বেশিরভাগ সময় মানুষ শুধুমাত্র ধুমপান এবং শুকনো বা ঠাণ্ডা স্থানে অবস্থান করলেও এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সিজনাল জ্বরের অন্যতম চিহ্ন হল মাথার ব্যাথা, যাকে সময়ের পাশাপাশি এবং শুকনো বা ঠাণ্ডা অবস্থানের সাথে একসঙ্গে অনুভব করা হয়।
যদি আপনি অস্বস্তি বা সতর্কবাণীমূলক লক্ষণে ভুগছেন এবং আপনার জ্বর স্থিতি বাড়ছে বা দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন, তাহলে ধরে নিবেন তা সিজনাল ফ্লু।ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টায় দেখা যায় ।
লক্ষণ কি
সিজনাল জ্বরের লক্ষণগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:
মাথার ব্যাথা: জ্বরে ভুগলে মাথা ব্যথা অনুভব হতে পারে। এটি সাধারণত সময়ের পাশাপাশি এবং শুকনো বা ঠাণ্ডা অবস্থানের সাথে একসঙ্গে বেড়ে যায়।
তাপমাত্রা বাড়তে থাকা: সিজনাল জ্বরে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। সাধারণত জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা 100 ডিগ্রি ফারেনহাইট (38 ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তার বেশি হয়।
বমি : জ্বরে ভুগলে মানুষ বমি করতে পারে বা বমি অনুভব হতে পারে।
শরীরের অবস্থা দুর্বলতা: জ্বরে ভুগলে মানুষ অবস্থা দুর্বল হতে পারে, যার ফলে ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার অনুভূতি থাকতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: কিছু ক্ষেত্রে সিজনাল জ্বরে ভুগলে শ্বাসকষ্ট অনুভব করা হতে পারে।
চিকিৎসা কি
সিজনাল জ্বরের চিকিৎসার জন্য মানুষের প্রথম পদক্ষেপ হল চিকিৎসার সাধারণ দিকগুলো মেনে চলা। নিম্নলিখিত চিকিৎসামূলক পরামর্শগুলি অনুসরণ করতে হবে:
বিশ্রাম এবং পর্যবেক্ষণ: আপনার শরীরের ওপর প্রভাব ফেলা শান্তি প্রয়োজন। আপনাকে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে বিশ্রাম নেতে হবে।
তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ: আপনার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। পানি অথবা জলাপানের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিম্ন করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: সম্পূর্ণ হিসাবে হাইড্রেশন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন যাতে দেহ পর্যাপ্তভাবে শান্ত থাকে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: প্রয়োজনবোধে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। ভালোভাবে ঘুমানো এবং নিজেকে প্রশান্ত রাখার জন্য সময় দিন।
সিজনাল জ্বরের প্রতিরোধের জন্য কিছু করার পরামর্শ নিম্নলিখিত হতে পারে:
সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধুয়ে রাখুন: নিয়মিতভাবে হাত ধুয়ে রাখা সম্ভবে সাধারণ ভাইরাস এবং আক্রান্ত পদার্থগুলো থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
মুখ এবং নাকের সংস্পর্শ থেকে সাবধান থাকুন: হাত ব্যবহার করে মুখ এবং নাকে ছুঁতে থাকবেন না। এটি ভাইরাসের ছড়ানোর সম্ভাবনা কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জনসমাগমে মাস্ক পরিধান করুন:জনসমাগমে মাস্ক পরিধান করুন । কেননা এটা আপনাকে ভাইরাস গ্রহণে বাধা দেবে।
অবসর গ্রহণ করুন: যদি আপনার উপসর্গ সিজনাল ফ্লুর চেয়ে বেশি মারাত্মক হয় এবং আপনি কর্মস্থলে থাকেন, তাহলে সাধারণত অবসর গ্রহণ করা উচিত। এটি অন্যান্য মানুষের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে এবং আপনার স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে।
পরামর্শ পান: যদি সম্ভব হয়, স্বাস্থ্য বিষয়ে একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। উপযুক্ত পরামর্শ এবং বিশেষজ্ঞের মতামত অনুসরণ করা উচিত।