প্রচন্ড গরম । ভয়াবহ তাপদাহে কাটছে দিন রাত । বাতাস আজ আছে তো কাল নেই । এখন আছে তো একটু পরে নেই । যে বাতাস তাও গরম । ঠান্ডা বাতাসের কোন নামগন্ধও নেই ।
মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও বৃষ্টির পরে যেই সে-ই। ঠিক সেই গরম । কিন্তু এই গরম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। কি, অবাক হলেন ? আরে ভাই দাঁড়ান । কথাটা তো শেষ করি ।
কথাটা শেষ করি । আপনাকে বুঝতে হবে বিপজ্জনক কখন ? বিপজ্জনক হলো গরমে এই নিচে উল্লেখিত ফলগুলো খেলে । এখন হয়তো বা শান্ত হয়েছেন ,তাই না ? কেননা এগুলো রক্তে শর্করা বাড়ায় । আর তাতে যে কি হয় সেটা কিন্তু আমরা সকলেই জানি।
আরে ভাই উত্তেজিত হয়েন না । বলব তো ফলগুলোর নাম । শান্ত হউন । আর শান্ত না হলে যে কোন একটা পয়েন্ট মিস করতে পারেন । তাই মনোযোগ সহকারে পুরো লেখাটি পড়ুন।
১. আনারস: নাম শুনে তেড়ে আসতেছেন নাকি ? আরে ভাই থামেন থামেন... । আনারসে ১৬ গ্রাম পর্যন্ত চিনি বিদ্যমান । আর চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কি ? ক্ষতিকর ,তাই না ? হ্যা ঠিক তাই । তো কি করতে হবে বাদ দিতে হবে ।
২. আম: এখন বলবেন ধুর মিয়া আপনি আলতু- ফালতু কি বলছেন ? ভাই রাগ করলে কি হবে বলেন । আপনারা অনেকেই ফলের রাজা আমকে পছন্দ করেন । তাও আবার কি , মিষ্টি আম । কিন্তু এটা তো জানেন ,ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু খেতে পারবেন না । তবে আমি আম খেতে নিষেধ করছিনা। বুঝে সুঝে খান ।
৩. লিচু : ছোটদের প্রিয় একটি ফল । কিন্তু এতে থাকা চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
৪. কলা : কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অধিক থাকায় আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর । তবে একটু আধটু খেতে পারেন । তবে অতিরিক্ত খাওয়া বিপজ্জনক।
৫. সবেদা: অনেকের প্রিয় একটি ফল সবেদা ।এর গ্লাইসেমিক মাত্রা অন্য সব ফলের চাইতে বেশি। এটা অনেকে পছন্দ করে কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে খাই না । তবে আপনাদের উচিত হবে পরিহার করা । অন্তত সবাই খেতে পারলেও আপনি পারবেন না।
৬. তরমুজ: নাম শুনে বলবেন , এবার বুঝছি আপনার মাথায় বিমরতি হইছে , তরমুজ নাকি ক্ষতিকর ? আচ্ছা আমি বলি তরমুজে বিদ্যমান থাকে চিনি শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট । কি বুঝলেন রাগ দেখাইয়া লাভ নাই । ক্ষতিটা তখন আপনারা হবে ।
তাই গরমে সুস্থ থাকুন ।