জলবসন্ত মারাত্মক রোগ ? সত্যি !

বসন্ত রোগকে এমন কে আছে যে না চেনে ।এর আগেও , "জলবসন্ত হলে করণীয় কি "- শিরোনামে একটি লেখা আমার এই ওয়েবসাইটে আছে । তাই আজকে আরও কিছু জানাচ্ছি। প্রায় ২০-৫০ বছর আগেও এই বসন্ত রোগে কত মানুষইনা মারা গেছে । এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হওয়ায় কোন মানুষকে মরতে দেখা যায় না । করোনার মত এই ভয়াবহ থাবা থেকে মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছে । কিন্তু করোনার প্রারম্ভিকে যে মানুষ মারা গেছে তা থেকে এখন ঐ রকম হয় ? না হচ্ছে না । অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যে রোগই দেন না কেন তার প্রতিষেধক নিশ্চয়ই দিয়ে দেন । তবে সেটাকে মানুষের জন্য খুঁজে নিতে হয় । 


                                      


Chicken pox




বসন্ত অনেক রকমেরই হয় । তার মধ্যে জলবসন্ত একটি । শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও ভয়ের কিছু নেই যে এটা কোন জীবনহানিকর মারাত্মক রোগ নয় । 






ছড়ায় যেভাবে : ভেরিসেলা জোস্টার নামক একটি ভাইরাসের সংক্রমণে এটা ছড়ায় । অর্থাৎ এটি একটি সংক্রামক রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, ত্বকের সংস্পর্শ, ব্যবহৃত পোশাকের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয় তার পর থেকে ২ দিন আগে শুকিয়ে যাওয়া ফুসকুড়ির খোসার সাহায্যে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি ও ফুসকুড়ির খোসা বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। 






লক্ষণ : ভাইরাসটি দেহে ঢোকার ১০-১২ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশিত হতে শুরু করে । ত্বকে প্রথমে ঘামাচির মতো গুটি উঠতে দেখা যায় , যা পরবর্তীতে ফুসকুড়িতে পরিণত হয়। ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার ২-৩ দিন পরে চুলকানি, জ্বর, পেটের ব্যথা , পাতলা পায়খানা‌ ও কাশি দেখা যেতে পারে । সেই সাথে আরো যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হল: 






১.পায়ে মারকটির দাগ বা ধূসর রঙের গন্ধযুক্ত ফাংশ দেখা যেতে পারে।




২.বুকে বা পেটে ফুলপেটের অভাব অনুভব করা যেতে পারে।




৩.কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করা যেতে পারে। 






করণীয় : যদি আপনি জলবসন্ত রোগে সন্দেহ করেন তবে নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করতে পারেন:




১.চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের জন্য দ্রুততম সময়ে যোগাযোগ করুন। আপনি তাদেরকে আপনার লক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে পারেন।




২.অনুশীলন করুন যে আপনি অন্যান্য ব্যক্তিদের সংক্রমণের কারণ হবেন না । 




৩.শরীরের পরিষ্কারতা বজায় রাখুন। নিয়মিত হাত ধৌত করতে সাবান ব্যবহার করুন এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। আপনার কাপড় এবং প্রায়শই স্পর্শ করার জন্য ব্যবহৃত পরিষ্কার আইটেমগুলি পরিষ্কার রাখুন।




৪..পর্যবেক্ষণের অধীনে থাকুন এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। আপনার চিকিৎসক আপনাকে পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দিলে তা করবেন । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম