কাশি হলো একটি সাধারণ মানসিক ও শারীরিক লক্ষণের সমন্বয়ে একটি রোগের সংকেত বা অবস্থা। এটি মূখের দ্বারা বের হয়ে একটি অস্বস্তিকর শব্দ উৎপন্ন করে যা হাঁচি, কাঁপুনি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। এটি প্রায়ই সাধারণতঃ একটি সামান্য রোগ বলা হয় কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই বিস্তারিত পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে ।
কাশির সাধারণ লক্ষণগুলো নিম্নলিখিত হতে পারে:
১.শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসতৎপরতা: কাশির একটি প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসতৎপরতা। কাশির সময় শ্বাসকষ্ট অনুভব করা হয় এবং শ্বাস নিতে বা বাহির করতে কষ্ট হতে পারে।
২.হাঁচি: কাশি সাধারণত একটি জ্বর বা ঠান্ডা আকারে শুরু হয় যেখানে হাঁচি উপসর্গ হয়।
৩.গলা বা বুকের জ্বালানি: কাশির সময় বা তারপরে গলা বা বুকে জ্বালানি অনুভব হতে পারে। এটি সাধারণত মাঝারি থেকে ভারী হতে পারে।
৫.শরীরের শীতলতা বা তাপমাত্রা বৃদ্ধি: কাশির সময় শরীরের তাপমাত্রা বা শীতলতা বৃদ্ধি হতে পারে। এটি কাশির একটি সাধারণ পরিণাম হতে পারে যেটি শ্বাসতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ার একটি ফলাফল হতে পারে।
৬.স্বাদ বা গন্ধ হারানো: কাশির সাথে মানুষের স্বাদ বা গন্ধের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এটি হতে পারে কাশির জন্য ব্যবহৃত ঔষধের পারিমাণ বা কাশির কারণে নাকের মুক্তমণ্ডলে পরিবর্তন হওয়ার ফলাফল হতে পারে।
করণীয় কি ?
কাশি নিয়ে যদি আপনি সমস্যা অনুভব করেন বা কাশি আপনার জীবনকে অস্বাভাবিক করছে, তাহলে কিছু করণীয় নিম্নে দেয়া হলো:
১.পরামর্শ ও চিকিৎসা: প্রথমেই আপনার স্বাস্থ্যসম্পর্কিত চিকিৎসা করানো উচিত। তারা আপনার অবস্থাটি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে চিকিৎসার পরামর্শ দিবেন। তাদের পরামর্শ ও পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন এবং যদি প্রয়োজন হয় ঔষধ বা অন্যান্য চিকিৎসাগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
২.উপযুক্ত পরিপাটি অবলম্বন করুন: আপনি যদি বাহিরে যান তবে একটি মাস্ক পরিধান করুন যা আপনাকে কাশির থেকে সুরক্ষা করবে। সরাসরি লোকের সাথে সম্পর্ক পরিহার এবং হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ও নাক সংলগ্ন হাত দিয়ে ঢাকুন।
৩.পানি পান : পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ভালো মানের হালকা পরিষ্কারক ব্যবহার করুন।
৪.তাপমাত্রা : ঠান্ডা ও শীতল উপস্থিতি থেকে বিরত থাকুন। শীতল পরিবেশে বা একটা গরম শাওয়ার পরলে কাশি কম অনুভব করা যায়।
৫.কাশির উৎপাদন কামী উপাদান পরিহার করুন: যদি কারণ হয় কাশির উৎপাদন কামী উপাদানের সংস্পর্শে থাকা, তাহলে সম্ভব হলে সেই উপাদানের থেকে দূরে থাকুন।
৬. আদা চা : কাশি নিরাময়ের জন্য আদা চায়ের বিকল্প নেই । তাই নিশ্চিন্তে এটা পান করতে পারেন ।
৭. গরম সেঁক: কাশি নিরাময়ে মাঝারি গরম পানির সেঁক নিতে পারেন । তাছাড়া জামা কাপড়
এর কিছু অংশ গরম করে সেঁক নিতে পারেন ।
Tags
cough