বাংলাদেশে জাতীয় ফলের নাম কাঁঠাল । কাউকে জিজ্ঞেস করলে অনায়াসে বলে দিবে তার নাম । একটি সুস্বাদু ফলের নাম । সুস্বাদু হলে পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার সবারই আছে । অর্থাৎ অনেকের পছন্দের আবার অনেকের না পছন্দ । পছন্দ বা অপছন্দের বিষয় বিবেচনায় না এনে লিখছি না । আজকে জানাব কাঁঠালের উপকারী দিক নিয়ে । তাহলে জেনে নিন কি কি উপকারী দিক রয়েছে।
.jpg "Jackfruit")
১. পুষ্টিকর ফল: কাঁঠাল উচ্চ প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ ফল। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফোরাস, পোটাসিয়াম ও ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স (বি১, বি২ ও বি৬) সহ অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে। এই ফল পুষ্টিকর খাদ্য পুষ্টির যোগান দিয়ে স্বাস্থ্য উন্নতি করে ।
২. সর্দি কাশি: প্রচন্ড তাপদাহ , কিছু দিন বৃষ্টি হলেও যেই সেই । আর এতেই অনেকেরই জ্বর, কাশি ,সর্দি হয়ে থাকে। এসব নিরাময়ে কাঁঠাল ভাল কাজ করে ।
৩. মায়ের পুষ্টিতে: গর্ভবতী মায়েরা যারা আছেন তারা প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খাবেন । এতে করে আপনাদের ও আপনার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়ে যাবে ।
৪. হৃদরোগের ঝুকিতে: কাঁঠালে যে ভিটামিন বি৬ বিদ্যমান তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক । হৃদরোগের রোগী যারা আছেন তারা প্রতিদিন একটু হলেও খান
৫. সদ্যজাত শিশু জন্ম দান করা মায়ের দুগ্ধ বৃদ্ধিতে: দুগ্ধদানকারী মায়েরা পরিমিত পরিমাণে পাকা কাঁঠাল খেলে আপনারা আপনাদের বাচ্চার দুধের চাহিদা মেটাতে পারবেন । এতে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
৬. গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়: গর্বধারণ করা মহিলাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তার জন্য কাঁঠাল স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে ।তাই কাঁঠাল খাদ্য তালিকায় রাখুন । তবে পরিমিত পরিমাণে ।
৭. রক্ত স্বল্পতায় : কাঁঠালের খনিজ উপাদান আয়রন আপনার শরীরের রক্তাল্পতা দূর করবে ।
৮. হাঁপানী তাড়াতে: যারা হাঁপানি রোগের ভুগছেন তাদের জন্য কাঁঠাল খাওয়ার পরামর্শ রইল । কেননা এটি অ্যাজমা প্রতিরোধের গুণাবলী বিদ্যমান । তার জন্য আপনাকে কাঁঠালের শিকড় ছেঁচে নিয়ে ফুটাতে হবে । এরপর এর পানিটা খান তারপর দেখেন ম্যাজিক।
৯. দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখতে: আপনি যদি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে চাইলে কাঁঠাল খান । কাঁঠালে যে ভিটামিন এ ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে তা দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
১০. ত্বকের মসৃনতায়: ত্বক সুন্দর রাখতে কে না চায় । আপনার ত্বক যত্ন করতে নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়া আবশ্যক ।