ক্ষুধা শারীরিক প্রণালীর একটি । না খেয়ে বা খেতে না পারার যে শারীরিক যন্ত্রণা তাই ক্ষুধা । এই ক্ষুধা কেউ সহ্য করতে পারে না । হয় তো একদিন , দুইদিন, তিনদিন বড় জোড় এক সপ্তাহ না খেয়ে থাকতে পারে । কিন্তু একেবারে না খেয়ে থাকা সম্ভব না। আপনি বাঁচতে পারবেন না ।
ক্ষুধা সবারই লাগে । তাই আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু কিসের জন্য ? আসলে প্রতিনিয়ত খাচ্ছেন কিন্তু ক্ষুধাভাব থেকেই যায় । এই লেখাটি তাদের জন্যই । আপনি এখন খেলেন দেখা গেল কিছুক্ষণ পর ক্ষুধা লেগে গেল । এরকম সমস্যা অনেকেরই হয় । তাই ক্ষুধাভাব মেটানোর উপায় কি ? উপায় তো আছেই।
ক্ষুধাভাব মেটানোর উপায়:
ক্ষুধা মেটাতে আপনি পানি পান, প্রোটিন ও ফাইবার ধারণ করতে পারেন। তাছাড়া, মাঝে মাঝে একটু অল্প করে খাওয়া বেশি সাহায্য করতে পারে ক্ষুধা মেটাতে। বিস্তারিত বলছি ।
শরীরের যত্ন নেয়া : প্রতিদিন যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রয়াসে শরীর ক্ষুধা মেটায় এবং কোষের কাজকর্ম সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে।
প্রোটিন ধারণ: মাংস, মাছ, ডাল, ডিম, পুলস, ছাগলের মাংস ইত্যাদি কন্টেন প্রোটিন, যা দ্রুত ক্ষুধা শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
ফাইবার ধারণ: শাক-সবজি, ফল, অটবেন, মুগের ডাল, কালাই সব ভাল উৎস হতে পারে ফাইবারে, যা ক্ষুধা মেটানোয় সাহায্য করে এবং পাচনে উপকারী।
মাঝে মাঝে খাওয়া: একবারে বড় পরিমাণে খাওয়া বন্ধ করে, মাঝে মাঝে কয়েকবার খাওয়া ক্ষুধা মেটানোয় সাহায্য করতে পারে।
এই সম্পর্কিত কোনও চিকিৎসাশাস্ত্রীর সাথে পরামর্শ করতে হলে, আপনার স্বাস্থ্য অবস্থা এবং পুর্ববর্তী চিকিৎসা জানাতে ভুলবেন না।
নিয়মিত খাওয়া: নিয়মিত সময়ে সময়ে খাওয়া । সকালের খানা না খেয়ে একেবারে দুপুরে খেলে হবে না । আবার সকালও নয় দুপুরও নয় এরকম সময়ে খেলে হবে না ।
খাদ্যের ধরন বিবেচনা: ক্যার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিনের সঠিক অনুপাতে খাওয়া যা ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করতে পারে।
ক্ষুধা মেটাতে অনেকে শাক সবজি খেয়ে থাকেন । আবার অনেকে শর্করার উপর নির্ভর করেন । শুধু সবজি খেলেই যে ক্ষুধা মিটবে তা তো নয় । সব সবজি তে আর পর্যাপ্ত ফাইবার আপনি পাবেন না । তবে তার মানে এই নয় যে আপনি এগুলো খাওয়া ছেড়ে দেবেন । অবশ্যই খেতে হবে ।
এই সাধারণ পরামর্শগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু, আপনার শারীরিক অবস্থা বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনও সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।