আজকাল প্রচন্ড গরম পড়ছে । কোনমতেই কাটছে না গরমের রেশ । কে জানে কবে কমবে এই তাপদাহ । এই গরমে মানুষ হায় হুতাশ করে এদিকে ওদিকে ছুটে বেড়ায় একটুখানি ঠান্ডা পাবার জন্য। অনেকে কোমল পানীয়র দিকে ছুটে যান। যখন মুখে নেন তখন মনে করেন আহ্ কি ঠান্ডা!
আরে ভাই থামেন । এই গরমে নিজের কলিজা ঠান্ডা করার মত কোন পানীয় কি পাননি ? আপনি জানেন এই কোমল পানীয়তে কোন উপকারী উপাদান নেই ? এ থেকে টিউবওয়েলের ঠান্ডা পানি পান করে দেখুন সত্যিকারের ঠান্ডা পাবেন । যেন আপনার প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে।
এখানে এত কিছু বলার মানে হচ্ছে কোমল পানীয়র ক্ষতিকর দিক আলোচনা করা । এককথায় এতে কোন উপকার নাই।তাই দেখুন কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে । আসুন তাই জেনে আসি।
১.বৃক্ক ও যকৃৎ
প্রতিদিন অন্তত একবারের জন্য হলেও কার্বোনেইটেড পানীয় পান করা কিডনি বা বৃক্কে পাথর হওয়া অথবা অন্য যেকোন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। তবে যকৃতের যে রোগে মানুষ ভোগে তার জন্যও বিশেষভাবে দায়ী এই অতিরিক্ত কোমল পানীয়।
২.মুখ ও দাঁতের সমস্যা: কোমল পানীয় অতিরিক্ত সেবনের ফলে দাঁতের মধ্যে ক্যারিএসটি (Caries) বা দাঁতের পচনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, পানির মাধ্যমে পাচন ক্ষমতা নষ্ট হতে পারে এবং মুখের স্বাস্থ্য সমস্যার উৎপাদন হতে পারে।
৩.হৃদরোগের ঝুঁকি: অতিরিক্ত কোমল পানীয় সেবনের জন্য সাধারণতঃ খাবারের সাথে সাধারণতঃ স্যুগার এবং ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ায়। এটি মেটাবলিক সিন্ড্রোম, ওজনের বৃদ্ধি, হাইপারটেনশন, ওজনের বৃদ্ধি, ক্যালসিয়ামের ক্ষতিকারক প্রভাব এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
৪.প্রজননক্ষমতা কমায়
কিছু কোমল পানীয়তে ব্রোমিনাটেড ভেজিটেবিল অয়েল বিদ্যমান যা আপনার দেহে বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। বোঝেন নি মনে হয় ? আপনি ও আপনার সঙ্গিনী যে কারণে যৌন মিলন করেন তার উপর বাঁধা আসবে । ছেলে মেয়ে যেই হউক না কেন । তাই সবাই সাবধান।এ সুখের যৌন সম্পর্ককে কোমল পানীয় দ্বারা নষ্ট করবেন না। বাবা-মা হতে চাইলে এগুলো থেকে দূরে থাকুন।