বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন ? কিংবা সঙ্গীর কাছে যেতে ভয় পান ? আর ভয় পেয়ে এটা ভাবেন যে সঙ্গিনী কি মনে করবে ? আবার আর এক দিক থেকে বলা যায় সঙ্গিনীকে যৌনসুখ দিতে পারছেন না ? এরকম অনেক প্রশ্ন শোনা যায় । লিঙ্গ চিকন, ছোট। তুমি ঠিক মত করতে পারছ না । এরকম কথাবার্তা তো আছেই । মানে অনেক সময় এমন অবস্থা হয় যে সাংসারিক জীবনে অশান্তি থেকে শুরু করে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকেও গড়ায় । তাতে যত কারণ রয়েছে তার মধ্যে এই যৌন সমস্যা একটি ।
আজকে যৌন সমস্যা গত লিঙ্গ মোটাকরণ নিয়ে আলোচনা করছি । বিজ্ঞানের ভাষায় মেয়েদের যৌনাঙ্গ যেকোন ধরনের লিঙ্গ নিতে সক্ষম । সেটা হউক চিকন , মোটা,বড় বা ছোট । কিন্তু এগুলো কি সবার জন্য ? উত্তর হচ্ছে না । কেন না ? দেখেন পৃথিবীর এক এক অঞ্চলের মানুষের কথা ভাবুন। তাদের আবহাওয়া, শরীরের গঠন, খাদ্যাভ্যাস এর কথা ভাবুন আর এশিয়া তথা আমাদের ক্ষেত্রে ভাবুন । এরকম ? না ভাই, এরম নয় । আর এরকম হবেও না । তবে এটা জেনে রাখেন যে বড় লিঙ্গ হওয়ার চাইতে মাঝারি লিঙ্গ অনেক আরামদায়ক তথা অনেক ভাল । মাঝারি লিঙ্গ কোনটা সেটা একটু পরে আসছি । আবার বড় লিঙ্গের চাইতে মোটা লিঙ্গ অনেকটা আরামদায়ক। তাই আপনি দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করার চেয়ে মোটা করার দিকে নজর দিন । আপনার সঙ্গিনীকে জিজ্ঞেস করুন তার কেমন পছন্দ। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা মোটা লিঙ্গ চায় । আচ্ছা এখন লিঙ্গের সাইজ নিয়ে আলোচনা করি ।
যদি কোন পুরুষের লিঙ্গের সাইজ ৮.১২ সে.মি. (৩.২ ইঞ্চি) হয়ে থাকে তাহলে তা সাধারন অর্থাৎ অনুত্তেজিত অবস্থায় তবে এটি স্বাভাবিক সাইজ।
আবার লিঙ্গটি যদি ৯.১৪ সেন্টিমিটারের (৫.১ ইঞ্চি) হয় উত্তেজিত অবস্থায় তবে এটি পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য।
আবার লিঙ্গ যদি উত্তেজিত অবস্থায় ১১.৪৬ সেন্টিমিটারের (৪.৫ ইঞ্চি) হয় তবে এটিও স্বাভাবিক ।
আবার অনেকে ক্ষেত্রে ৯ ইঞ্চিও দেখা যায় । আর এরকম হলেতো সমস্যার শেষ নেই । আরামের চাইতে কষ্টটাই বেশি। তাই যাদের লিঙ্গ ৯ ইঞ্চি তারা মিলনের সময় সাবধান। কেননা আপনার সঙ্গীর একটু চাপ পড়লেই ব্যথায় ছটফট করবে । তাই দৈর্ঘ্যের কথা বললে সাইজ হওয়া উচিত উত্তেজিত অবস্থায় সর্বোচ্চ ৫-৬ ইঞ্চি। এরকম লিঙ্গ নিয়ে আপনি যেভাবে ইচ্ছা সঙ্গিনীকে চরম সুখ দিতে পারেন । বিষয়টা আর একটু পরিষ্কার করি । মেয়েদের যৌনাঙ্গ মূলত উত্তেজিত অবস্থায় ৪-৫ ইঞ্চি হয় । আবার ৬ ইঞ্চিও হয় । এখন দেখেন আপনারটা যদি তার থেকে বড় হয় তা হলে অবস্থা কি হবে ,ভেবে দেখেছেন ? এখন দৈর্ঘ্যের কথা তো বললাম । এখন মোটা হওয়া নিয়ে বলি । সচরাচর লিঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় ৪ ইঞ্চি মোটা হয়ে থাকে । কারো কারো ৪.৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে । এগুলো স্বাভাবিক।মিলনের সময় মেয়েরা চায় দৈর্ঘ্য ৫-৬ ইঞ্চি আর মোটা ৪-৪.৫ ইঞ্চি । আর ৪.৫ এর বেশি সচরাচর দেখা যায় না । তবে এর থেকে যদি কম হয় তাহলে কি করবেন ? আমি বলব অস্ত্রোপচার না করে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন সহ লিঙ্গের ব্যায়াম করুন। কারণ অস্ত্রোপচারে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হয় । আর ব্যায়াম গুলো হলো :
আল্টিমেট স্ট্রেচার - এই ব্যায়াম পুরুষের লিঙ্গের অস্বাভাবিক আকার ও বেঁকে যাওয়া ঠিক করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুরু করার আগে শরীরকে রিল্যাক্স করতে হবে এবং ওয়ার্ম আপ করে নিন । এবারে আপনার লিঙ্গের ফোরস্কিনটি নিচে টেনে ধরুন এবং অন্য হাত দিয়ে লিঙ্গের বাইরে থাকা অংশটি ধরুন। তবে ধরার সময় সাবধান শক্ত করে ধরবেন না,এতে ব্যথা পেতে পারেন ,পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনে অসুবিধা হতে পারে। তারপর লিঙ্গের ডগা ধরে সামনের দিকে টানুন, এমন ভাবে টানবে না যে গোড়ায় ব্যথা হয় । এবার লিঙ্গটি ঠিক এই অবস্থায় পেটের কাছে এনে ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। তারপর ছেড়ে দিন ,৫ সেকেন্ডের বিশ্রাম নিন। তারপর একই পদ্ধতিতে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য লিঙ্গ প্রসারিত অবস্থায় নিচে, বাম ও ডান টেনে ধরে রাখুন। এইভাবে আরও ১০ বার করুন । প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই ব্যয়াম করতে হবে।
কেগেল ব্যায়াম - এটি একটি জনপ্রিয় ব্যায়াম। শুধু পুরুষদের জন্য নয় ,মহিলাদের জন্যও উপকারী। এর জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পিউবোকক্সিজিয়াস পেশীটিকে খুঁজে বের করতে হবে। এই পেশী আপনার প্রস্রাব এবং মল নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু কিভাবে খুঁজে পাবেন ? এ জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হ’ল যখন আপনার খুব জোরে প্রস্রাবের বেগ পায়, তখন আপনার লিঙ্গের যে পেশীসমুহ প্রস্রাব আটকাতে সক্ষম সেগুলিই হ’ল আপনার পিউবোকক্সিজিয়াস পেশি। এটা ভালো ভাবে স্মরণে রাখুন । এবার আপনাকে এই পেশীর সংকোচন করার ব্যয়াম করতে হবে। ব্যয়ামটি হল ,৫ সেকেন্ডের জন্য পেশী চেপে ধরুন , খুব জোরে নয় এবং ২ সেকেন্ডের জন্য ছেড়ে দিন। এভাবে প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন । এটা একটা কার্যকর চিকিৎসা।