খিঁচুনি বা মৃগী যা স্নায়ুতন্ত্রের একটি জটিল রোগ । তবে সব খিঁচুনিই মৃগী নয় । আমার এই ওয়েবসাইটে ,"মৃগী রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি ? "-শিরোনামে একটি লেখা আছে। মস্তিষ্কের কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখে। কোনো কারণে মানবদেহের কার্য পরিচালনাকারী মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক ও নিবৃত্তিকারক অংশদ্বয়ের কার্যপ্রণালির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে মৃগীরোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে
যখন এ ধরনের হাজার থেকে লক্ষাধিক বৈদ্যুতিক শক্তি একই সময়ে ঘটে এবং যা মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করে, যার ফলাফল হতে পারে খিঁচুনি। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বরের কারণে হতে পারে, আবার অনেক সময়, শরীরে লবণের পরিমাণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলে, হতে পারে।
যে কোন সুস্থ ব্যক্তি যে কোন সময় আক্রান্ত হতে পারেন । এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা , অস্বাভাবিক আচরণ করা ,চোখ - মুখ উল্টে যাওয়া ইত্যাদি আরো এরকম বিষয়াদি লক্ষ করা যায় ।
কারণ: খিঁচুনি বা মৃগী কেন হয় তা প্রথমেই বলেছি । কিন্তু শুধু কি তাই , আরওতো আছে । আর তা হল :
১.আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব।
২. সংক্রমণ যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে
৩. মস্তিষ্কের টিউমার।
৪. অধিক মাত্রার জ্বর।
৫. মস্তিষ্কে প্রদাহ।
এখন দেখব কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে -
১. হঠাৎ শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি শুরু হওয়া ও পর্যায়ক্রমে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে যাবে ।
২. হঠাৎ ঢলে পড়ে যাবে।
৩. শরীর শক্ত হয়ে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে যাবে ।
৪. হঠাৎ করে জ্ঞান হারাবে।
৫. ঘন ঘন কাজে অমনোযোগী সৃষ্টি হওয়া।
৬. ছোট বাচ্চাদের শরীর হঠাৎ ঝাঁকুনি সৃষ্টি হবে।
৭. হঠাৎ মাথা বা পিঠ কিংবা পুরো শরীর সামনে ঝুঁকে চলে আসবে।
৮. হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করা এবং হাত, পা ও মুখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া শুরু হওয়া।
করণীয়:
১. প্রথমেই বলব ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া। যেখানে অ্যান্টি-এপিলেপটিক ওষুধ সেবনের কথা বলা হয়ে থাকে
২. রোগীকে উত্তেজিত করা যাবে না ।
৩. পুর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে ।
৪. মদ্যপান, ধুমপান চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে ।
৫. সময় মতো খেতে হবে
সতর্কতা:
১. ভয় পাওয়া যাবে না
২. আগুন ,পানি থেকে রোগীকে সাবধানে রাখতে হবে
৩. রোগী যাতে ঐ অবস্থায় আঘাত না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।