আমাদের অনেকেরই প্রায়ই রান্নাঘরে রান্না করার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হাত বা পায়ের কিছু কিছু অঙ্গ পুড়ে যায়। সেটা হতে পারে আগুন লেগে ,আবার সেটা হতে পারে গরম কিছু পড়ে । ব্যথা হওয়া তো একটি বিষয় আছেই সেই সাথে জ্বালোপোড়া। জ্বালাপোড়া হলে কি কি করণীয় তা নিয়ে আগামী পর্বে একটি পর্ব লিখব ।
আবার অনেকে হয়তো বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে পুড়ে যেতে পারেন । তবে যে পোড়াই হউক না কেন তার জন্য তো চিকিৎসা আছেই ।
তবে পোড়া অংশে কি কি হতে পারে সেটা জেনে নিন ।
১. ত্বক লাল হওয়া ( কম পুড়লে)
২. ফুলে যাওয়া
৩. ফোস্কা পড়া
৪. এক পর্যায়ে এ অংশটির চামড়া উঠা
৫. জ্বালাপোড়া হওয়াটা বাদ যাবে না
কি কি করবেন ?
১. প্রথমত দুর্ঘটনাজনিত স্থান থেকে আপনাকে অতিসত্বর বের হয়ে আসতে হবে । সাহায্যের জন্যও কাউকে ডাকতে পারেন ।
২.আর যদি গায়ে আগুন লাগে তৎক্ষণাৎ মাটিতে গড়াগড়ি দিন । পুকুর থাকলে পুকুরে ঝাপ দিন । তবে সতর্ক থাকা ভালো আগুন যাতে শরীরের গভীরে যেতে না পারে । ততটা সম্ভব ক্ষতিটা এড়াতে হবে । আমি বলব আল্লাহ এমনটা না করুক । সবাইকে দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ সবাইকে বাঁচিয়ে রাখুক ।
৩. শরীর কোন গয়না থাকলে খুলে ফেলুন । আর যদি চামড়ার সাথে লেগে থাকে তা টানবেন না
৪.পাতলা কাপড় বা কম্বল দিয়ে শরীরে মুড়ে দিন ।
৫. ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ঔষধ খেতে পারেন
৬. আর রাসায়নিক ভাবে পোড়ে তাহলে প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
যা যা করবেন না :
তেল,টুথপেস্ট ও হলুদ ক্ষতস্থানে লাগাবেন না ।
ক্ষতস্থানে বরফ চাপা বা তীব্র শীতল পানি ঢালবেন না। এতে ক্ষতটি আরও গভীর হয়ে যেতে পারে। আর লম্বা সময় ধরে ঠান্ডা পানি ঢালবেন না ।
ক্ষত স্থানে সরাসরি তুলা, টিস্যু কিংবা ক্রিম ব্যবহার করবেন না ।
ডাক্তারের কাছে যাবেন ?
যদি মাত্রাতিরিক্ত পুড়ে যায় তবে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের কাছে নিন । আর যদি কম হয় অর্থাৎ তাতে তেমন কোন ক্ষতি হচ্ছে না তাহলে উপরের নিয়ম অনুযায়ী করলেই হবে । তবে আমি বলব হালকা থেকে মাঝারি হলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ।
যে যে সতর্কতা অবলম্বন করলে আগুন থেকে বাঁচতে পারবেন :
এই আগুন লাগে মানুষের অসতর্কতাবশত বা ভুল বশত । তবে খুব কম আছে যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে এসব সতর্কতা থাকলে ঠেকানো সম্ভব। এটা সবাইকে নজরদারিতে রাখা উচিত। তবে যা করবেন:
১. রান্নাঘরে ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না । কেননা এতে অমনোযোগী ও অসাবধান হতে পারেন।
২. কাপড় সাবধানে রাখুন বা শরীরের সাথে আটকে রাখুন অর্থাৎ কাপড়ে যেন আগুন না লাগে, সে জন্য সতর্ক থাকুন। ঢিলেঢালা পোশাক ,ওড়না, চাদর এসব পড়ে রান্না ঘরে যাবেন না , আঁটসাঁট হয়ে যাবেন।
৩.রান্না শেষে গ্যাসের চুলা বা চুলা নিভিয়ে দিন।
৪. গ্যাসের সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা থেকে করুন । মাঝেমধ্যে ফুটো বা লিক আছে কি না সেটাও দেখেন ।
৫. বদ্ধ জমা গ্যাস পুর্ণ ঘরে দিয়াশলাই জ্বালানোর আগে জানালা খুলে ফেলুন ।