আসিতেছে শীতকাল । খেজুরের রস খাওয়ার সময়ও হচ্ছে। আর তাই সকলেই তার প্রস্তুতি নেবেন । যার গাছ আছে সেতো নিবেনই । আর যার নেই সেতো কিনে নিবেন । বাজারে এমন অনেক লোক আছেন যারা খেজুরের রস বিক্রি করেন । তবে সে যাই হউক ভেজাল না থাকলেই হয় । কিন্তু সমস্যা এখানে নয় অন্য জায়গায়।
এমন অনেকে আছেন যাদের খেজুরের রস পছন্দনীয়। হেডলাইন দেখে চমকে উঠলেন ? আরে আস্তে । পুরো লেখাটা তো আগে পড়ুন । আমি তো বলছি না যে খেজুরের রস বিষাক্ত বা খাবেন না। কি বলতে চাইছি সেটা আগে পড়ুন।
ভাইরাস নামটা সকলেই শুনেছেন ? আপনি কি এটা শুনেছেন যে খেজুরের রসের মাধ্যমে এক ধরনের ভাইরাস ছড়ায় ? হয়তো অনেকেই শুনেন নি । প্রথম শুনাতে চোখ কপালে ? বুঝিয়ে বলছি ।
খেজুরের রস শুধু মানুষ যে খায় তা তো নয় । বাদুড়ও কিন্তু খায় । এই যে বাদুড়ের সংস্পর্শে আসা যে রস তা সেই ভাইরাসের কারণ । কাঁচা খেজুরে বাদুড়ের লাল ও প্রস্রাব মিশে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। এবার তো বুঝলেন আমি কি বুঝাতে চাইছি ? এখানেই শেষ নয় এই যে ভাইরাস তা থেকে এনসেফালাইটিসের মত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ।
ওহ্ হ্যা এখানে আমি কাঁচা খেজুরের রস বলতে বুঝিয়েছি সদ্য গাছ থেকে আনা । যদি এরকম খেজুরের রস হয় তবে অবশ্যই অবশ্যই জ্বাল না দিয়ে পান করবেন না । এখন বুঝতে পারছেন খেজুরের রস জ্বাল দিলে কি হবে ? এটা তো আর বুঝিয়ে দিতে হবে না।
তাই এই শীতে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজে সতর্ক থাকুন এবং সকলকে সতর্ক রাখুন।