মেরুদণ্ড সুস্থ রাখার উপায় কি ?

মানবদেহের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম মেরুদন্ড । খোদ দেহটাই নিয়ন্ত্রিত হয় এই মেরুদন্ড থেকেই । আর এই মেরুদন্ড থাকার ফলে একজন মানুষ তার দেহকে ভারসাম্য রাখতে পারে । তবে দেহের ভারসাম্য রাখার জন্য আরও কিছু আছে। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু থাকবে মেরুদন্ড সংক্রান্ত । 




Vertebral column



মানবদেহের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়ন্ত্রিত জীবন যাবন । তবে হাড়ের সুস্থতার জন্য দেহের সব অঙ্গকেই সচল রাখতে হয় । তার যে মেরুদন্ডের সচলতা, স্বাভাবিকতা , এমনকি সুস্থতারও প্রয়োজন । আর যে ব্যক্তি মেরুদন্ডের অসুস্থতায় ভোগে তার কতই না কষ্ট ভোগ করতে হয় । তিনি না পারেন দাড়াতে ,না পারেন হাঁটতে, না পারেন একটু শান্তিতে থাকতে । 






যাই হউক মেরুদন্ডের সুস্থতার জন্য আপনি যা করবেন ।


প্রথমে যে কাজটি প্রসিদ্ধ তা হল : 




১. প্রতিদিন সকালে শরীর চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন । তাছাড়াও ৩০-৪০ মিনিট হাঁটতে পারেন । তবে শরীর চর্চা করলে খুব ভালো হয় । দৌড়াতে পর্যন্ত পারেন । তবে যাই হউক এতে আপনার রক্তের সঞ্চালন বাড়বে এবং মেরুদণ্ডের হার ও ডিস্ক সুস্থ থাকবে পাশাপাশি মেরুদণ্ডের মাংসপেশিও সুগঠিত হবে। 








২. দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকবেন না । কারণ দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ে । তাই যারা অফিসের কাজ করেন তারা মাঝে মাঝে বিরতি নিবেন , হাঁটাহাঁটি করবেন । এতে মেরুদন্ডের রক্তের সঞ্চালন বাড়বে।






৩. অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনুন । কারণ অতিরিক্ত ওজন আপনার মেরুদন্ডের সমস্যার কারণ ।‌






৪. মেরুদন্ডের সুস্থতার জন্য জুতোর প্রতি খেয়াল রাখুন।‌ বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক উঁচু জুতা বা সামনে-পেছনে উঁচু-নিচু জুতা আমরা ব্যবহার করে থাকি । তার কারণে আমাদের পুরো শরীরের ভার সঠিকভাবে নিউট্রালাইজ হতে পারে না। আর এই জন্যই মেরুদণ্ডের ওপরে চাপ তৈরি হতে পারে। তাই ভালো মানের জুতো ব্যবহার করুন । 






৫. উপোর হয়ে শোবেন না ,হোম বা স্প্রিংয়ের খাটে না শোয়াই ভালো । তোশক ব্যবহার করুন । বিছানা হতে হবে শক্ত, চওড়া ও সমান । 






মেরুদন্ড সম্পর্কে সঠিক পরামর্শের জন্য একজন নির্দিষ্ট চিকিৎসকের সাথে পরবর্তী যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। চিকিৎসকদের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আপনি মেডিকেল পেশাদারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অধিক হাড়ে ব্যথা হলে আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই তা করতে হবে । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম