মুরগিতে বিষাক্ত পুষ্টি !

খাদ্য শারীরিক চাহিদার একটি । আমরা শারীরিক চাহিদা মেটাতে খাদ্য গ্রহণ করি । সারাদিন পরিশ্রম করে বাসায় ফিরে যখন খিদে মিটাই তখন কতই না ভাল লাগে । খিদে লাগলে সামনে যা পাই তাই খাওয়া শুরু করি । এটা হচ্ছে মানুষের একটা প্রাকৃতিক স্বভাব। খিদের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আমরা এমনটা করি।




     

Hen

                              


তবে কি কখনো ভেবে দেখেছি যে আমরা নিত্যনৈমিত্তিক কি খাদ্য‌ গ্রহণ করছি ? ভাবছি না তো , মাছ,মাংস , দুধ , ডিম, কলা ইত্যাদি ইত্যাদি।‌যা মনে আসতাছে তা খাওয়া শুরু করে দিচ্ছি । কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি যে নিজের কোন ক্ষতি হচ্ছে না কি ? যে বিষয়টি নিয়ে বলতে চাচ্ছি তা হল মুরগির গোশত।‌অন্য গুলোর কথা বলছি না ।






আজকে মনে মুরগির গোশত খেতে তাই বাজার থেকে কিনে আনলাম । ব্যাস যেই ভাবা সেই কাজ তাও আবার ব্রয়লার মুরগি । অন্য সব মুরগি থেকে এটাকে বেশি গুরুত্ব দেই । গুরুত্ব দেয়ার একটাই কারণ এটা খেতে অনেক নরম । কিন্তু এই নরম আপনার বিপদ ডেকে আনছে ।  






পোলট্রি ফিড খাওয়ানো মুরগি পরীক্ষা করে গবেষকরা একপর্যায়ে আঁতকে উঠেছেন । কিন্তু কেন ? এমন কি পেলেন তাতে ? আসুন ‌তা জেনে নেই।‌ বলছি বাংলাদেশের গবেষক অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন ও জোবায়ের হাসানের গবেষণায় দেখা গেছে, এক মাস এসব খাদ্য খাওয়া মুরগির মগজে ৭৯৯ পিপিএম ক্রোমিয়াম পাওয়া যায় । আর আমরা জানি ক্রোমিয়াম হল ভারী ধাতু তা দেহে সহনীয় মাত্রা হল প্রতিদিন ২৫ পিপিএম ।‌আর যদি এর অতিরিক্ত হয় তা দেহে জমা হয়ে মরণঘাতী রোগের সৃষ্টি করে । 








গবেষণায় আরও জানা যায়, গোশতে ২৪৪,চামড়ায় ৫৫৭,হাড়ে১০১১,কলিজায় ৫৭০,রক্তে‌ ৭১৮ পিপিএম ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। এখন বুঝুন কতটা মারাত্মক এই পোলট্রি ফিড খাওয়ানো মুরগি । তাই এই মুরগি থেকে দেশি মুরগি অনেক নিরাপদ । কেননা দেশি মুরগি সচরাচর ফিড খাওয়ানো হয় না । মানুষ যা খায় তা‌ থেকেও তাদের ‌খাদ্য হয়ে যায় । ফিড না হলেও চলে । 




তাই আমার পরামর্শ থাকবে দেশি মুরগি খাওয়ার। পোলট্রি ফিড খাওয়ানো মুরগি একবারে খাওয়া বাদ দিতে বলছি না , হ্যা খান তবে সেটা খুব কম পরিমাণে।‌

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম