ভাজা - পোড়া খাবার খেতেই না কত ভাল লাগে আমাদের । যে প্রথম বারের মত খায় তার কাছে খুবই প্রিয় হয়ে ওঠে এগুলো।আর যারা নিয়মিত খায় তাদের তো পছন্দই এগুলো । মানে এক কথায় বলা চলে লোভনীয় খাদ্য। দেখা মাত্রই খেতে ইচ্ছে করে। ভাজাপোড়া খাবার সাধারণত বেশি তেলে ভাজা হয়ে থাকে এবং এমন কি অনেক সময় উচ্চ পরিমাণে চিনিও যোগ করা হয়।
ছোলা ভুনা, পুরি, সিঙ্গারা, আলুর চপ, সামুচা, বেগুনি, পিঁয়াজি পাকোড়া, এসব হল আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। সবারই পছন্দের তালিকায় এসব । বন্ধুরা সবাই একসাথে আড্ডায় বসেছি , সিঙ্গারা, পুরি , পিঁয়াজি,বেগুনি এসব না হলে চলে ?
যাই হউক যাদের এসব নিত্য দিনের সঙ্গী তাঁরা নিজেদের কি কখন প্রশ্ন করেছেন যে তারা কি নিরাপদ এসব থেকে ? আপনারা আনন্দের সহিত খাচ্ছেন ? আর ভেবে বসে থাকেন যে কি হবে ? এভাবে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন না তো ? এবার আসুন জেনে নেই ভাজা -পোড়া খাবার আমাদের কি ক্ষতি করে ?
১. ক্ষুধা ও ঘুম নষ্ট: যারা বিকেলে বা সন্ধ্যায় ভাজা-পোড়া দিয়ে রাতের খাবার সেড়ে নেন তাদের রাতের ঘুম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমনকি ক্ষুধাও কমে যায় ।
২. চুল পড়া: চুল পড়ার অনেক কারণ আছে ? আপনি কি ভাজা-পোড়া খান ? আর আপনার কি চুল পড়ে যাচ্ছে ? আপনার চুল পড়া এই ভাজা-পোড়া খাবার একটা কারণ হতে পারে। কারণ এগুলো চুল গজানো নষ্ট করে দেয়।
৩. মোটা হওয়া: আপনি কি জানেন, মানুষ কেন মোটা হয় ? শরীরে চর্বি জমলে মানুষের মোটা হওয়ার একটা কারণ । আর এই চর্বির যোগান দেয় এই ভাজা-পোড়া খাবার। তাই আজই সতর্ক হউন।
৪.হজম শক্তি কম হওয়া : যারা হজম সমস্যায় ভুগছেন তারা হয়তোবা ভাজাপোড়া খাবার পছন্দ করেন । হতে পারে এটিও একটি কারণ । কেননা তেলযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে। পেটে অস্বাস্থ্যকর আন্ত সমস্যার জন্য কারণ হতে পারে।
৫.ওজন বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা: ভাজাপোড়া খাবারে বেশি তেলে এবং চিনির উচ্চ পরিমাণ থাকার কারণে এটি বেশি ক্যালোরি সরবরাহ করে। এটি ওজন বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা উৎপন্ন করতে পারে এবং বেশি খাওয়ার পরিণামে সাধারণত নিয়ন্ত্রিত ওজন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হতে পারে।
৬.হৃদয়ের সমস্যা: ভাজাপোড়া খাবারে বেশি তেল থাকার কারণে এটি ক্যালোরি সম্পন্ন এবং ক্যালোরি ঘাটানো খাবারের একটি উদাহরণ। এই খাবার রোগ প্রবণ কারডিওভাসকুলার সমস্যা যেমন হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি দেখা দেয়।
৭. গ্যাস্ট্রাইটিস: ভাজা -পোড়া খাবার গ্যাস্ট্রাইটিস এর জন্য দায়ী।
আমি এগুলো খেতে নিষেধ করছিনা, খেতে পারেন তবে খুব কম পরিমাণে। মাসে যদি দুই একবার খান তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। খুবই কম পরিমাণে খেলে খেতে পারেন । তবে উপরোল্লেখিত কারণ যাদের আছে তাদের বিরত থাকাই ভালো । তাই বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।